শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কলারোয়ার কেঁড়াগাছির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডি তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ
কলারোয়ার কেঁড়াগাছির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডি তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ

কলারোয়ার কেঁড়াগাছির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডি তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি:

কলারোয়ার ৫নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আফজাল হোসেন হাবিলের বিরুদ্ধে ভিজিএফ (বিশেষ) ভাতার তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ঐ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ একাধিক দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, করোনা, রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র দেশব্যাপী অসহায় ও কর্মহীনদের মাঝে আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরই সূত্র ধরে কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের ১৭৪৫ টি পরিবার এই সহায়তার আওতায় আসবে। এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগন সম্মিলিতভাবে এই তালিকা প্রণয়ন করার কথা। কিন্তু কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আফজাল হোসেন হাবিল এসব নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে, নিজ নির্বাচনী কর্মীদের ও ব্যাক্তিগত লোকজনের নাম তালিকাভুক্ত করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি সদস্য জানান,আমরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধ, কিন্তু আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আফজাল হোসেন হাবিল আমাদের বিগত ৫ বছর যাবত অবমূল্যায়ন করে আসছে। টি আর, কাবিখা, এলজিইডি, এলজিএসপি যাবতীয় কার্যক্রমে তিনি স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতি করে আসছেন। এমনকি চলমান প্রধানমন্ত্রীর উপহারের তালিকা প্রণয়নে তিনি আমাদের বিন্দুমাত্র মূল্যায়ন করেন নি। তিনি যত্রতত্র আমাদের সাথে অসৌজন্যমৃলক আচরণ করেন। উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তিনি কখনোই আমাদের সাথে পরামর্শ সভা ও মতামত গ্রহণ করেন না।
আমাদের না জানিয়ে তিনি প্রকল্প প্রণয়ন ও বিল উত্তোলন করেন। তিনি আমাদের সাক্ষর পর্যন্ত নকল করতে পিছপা হন না। ব্যাক্তিস্বার্থে মনগড়া ও অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প নিয়ে মনগড়া কমিটি করেন, না জানিয়ে আমাদের নাম ও ব্যবহার করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কেড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আফজাল হোসেন হাবিল বলেন, আমি কিছু আত্মসাত করিনি। কার্ডের বিষয়টি আমি ১০ টির তালিকা দেবো এবং মেম্বারদেরও ১০টি করে দিচ্ছি। আর বাকিগুলো সচিব ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পরামর্শে তালিকা করা হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, ভিজিডি তালিকা প্রণয়নে চেয়ারম্যান কোনো তালিকা করতে পারবেন না। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এদিকে নিজে জনপ্রতিনিধি হয়ে নির্বাচিত অন্যসব জনপ্রতিনিধিদের সাথে এমন অবমূল্যায়ন স্বেচ্ছাচারি আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় সর্বস্তরের জনসাধারণ ।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।