নতুন সূর্য ডেস্কঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় আদালতে দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাক্ষী দেন সোনারাগাঁও রয়েল রিসোর্টের কর্মকর্তা জাকির হোসেন ও নূর নবী জনি নামে একজন সংবাদকর্মী।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, মামলায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় আদালতে মামুনুল হককে হাজির করা হয়।
মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন জানান, আজ দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতীয়মান হয়েছে যে মামুনুল হক নির্দোষ, আমরা ন্যায়বিচার পাব আশা করি।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন জানান, মামলার আরও দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ৪ অক্টোবর নির্ধারণ করেছেন আদালত।
প্রসঙ্গত ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। তখন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করে বিয়ের কাবিননামা দেখতে চান। কাবিননামা দেখাতে ব্যর্থ হন তিনি। এছাড়া শরীয়ত মতে বিয়ের জন্য একজন কাজী বা দুজন সাক্ষীও দেখাতে পারেননি ওই হেফাজত নেতা। পরে খবর পেয়ে মামুনুল হকের সমর্থিত স্থানীয় হেফাজতের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনুলকে। এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন মামুনুল হকের দাবিকৃত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।