বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
কলারোয়ার কেঁড়াগাছিকে মডেল ইউনিয়ন করতে চান-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ রুহুল কুদ্দুস
কলারোয়ার কেঁড়াগাছিকে মডেল ইউনিয়ন করতে চান-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ রুহুল কুদ্দুস

কলারোয়ার কেঁড়াগাছিকে মডেল ইউনিয়ন করতে চান-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ রুহুল কুদ্দুস

শফিকুর রহমান, কলারোয়া:

কলারোয়া উপজেলার ৫নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে রুপান্তরের লক্ষ্যে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছে সাবেক ছাত্রনেতা ও অত্র ইউনিয়ন তথা উপজেলার আওয়ামী রাজনীতির দূর্দিনের কাণ্ডারি তরুণ সমাজসেবক ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ রুহুল কুদ্দুস।

কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান সভাপতি ও মানবতাবাদী সংগঠন আমরা সেবক একতা সংঘের প্রতিষ্ঠাতা এবং আওয়ামী তরুণ প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ সভাপতি-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ রুহুল কুদ্দুস ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে অতীতের সকল নির্বাচনের চাইতে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। বিভিন্ন উদ্ভাবনী কৌশলের মাধ্যমে প্রচারণার কারনে নির্বাচনী মাঠ বেশ সরগরম হয়ে উঠতে শুরু করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর যাবত চলমান করোনাভাইরাস নামক মহামারী ও আম্পাণ ঘুর্নিঝড়ে লন্ডভন্ড ও অর্থনৈতিক সঙ্কটাপন্ন কেঁড়াগাছি ইউনিয়নকে উত্তরণের স্বার্থে তিনি ইউনিয়নের ৬১ জন শিক্ষিত ও সম্মানিত ব্যক্তির সমন্বয়ে আমরা সেবক একতা সংঘ নামে একটি মানবিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠনের ব্যানারে তিনি ইউনিয়নের দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনসাধারণের মধ্যে চাল, ডাল, আটা, প্যাকেটজাত খাদ্য সামগ্রী, ও রুগ্নও দুর্বলদের জন্য চিকিৎসার সার্বিক ব্যাবস্থা করেছেন। গেল দুই ঈদ ও পূজায় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকটি পরিবারে বস্ত্র সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন। চলমান শীত মৌসুমে শেখ রুহুল কুদ্দুসের একক অর্থায়নে- আমরা সেবক একতা সংঘ ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ব্যানারে প্রায় তিন হাজার পরিবারে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে । এরই সূত্র ধরে তিনি আমরা সেবক একতা সংঘ ও উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বানে তিনি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হতে সম্মত হন।

সুদীর্ঘ ৩০ বছরের পোড় খাওয়া রাজনৈতিক জীবনে তিনি- ১৯৯৩ সালে কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য, ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কেড়াগাছি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এবং ২০১৮ থেকে বর্তমান অবধি কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য হিসেবে কঠোর নিয়মানুবর্তিতার মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

বিগত জোট সরকারের আমলে ২০০১ সালের ১লা অক্টোবর অর্থ্যৎ জাতীয় নির্বাচনের পরদিন কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের পাচপোতায় শেখ রুহুল কুদ্দুসের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে বিএনপি- জামায়াতের দূর্বৃত্তরা। যে সন্ত্রাসী তাণ্ডবলীলা দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার পিতা শেখ গোলাম মোস্তফা মৃত্যুবরণ করেন। এরপর কথিত ঐ সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী অত্যাচারের মাধ্যমে দীর্ঘ ১ বছর এলাকাছাড়া করে রাখে। এরপর হামলা ও একাধিকবার হত্যাচেষ্টা করা হয়। এমনকি আওয়ামী লীগ ত্যাগে বাধ্য করতে ঐ বছর পুলিশি হয়রানির মাধ্যমে বিনা অভিযোগে তিনদিন থানা হাজতে আটক রেখে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয় শেখ রুহুল কুদ্দুসের উপর।

ইউনিয়নের সর্বত্র মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী তৃণমূলের এই ত্যাগী নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় ( নৌকার) মনোনয়ন প্রত্যাশী ।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যেসব নেতা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে চোরাচালান, নিয়োগ বাণিজ্য ও দূর্নীতির অভিযোগ থাকলেও শেখ রুহুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে এমন কোনো কথা শোনা যায় না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, শেখ রুহুল কুদ্দুস বলেন, আমি ১৯৯৩ সাল থেকে বহু ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য রাজপথের সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে প্রায় ৩০ বছর যাবত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি। বর্তমানে এলাকার সূধীমহল ও জনসাধারণের অনুরোধে এবং ইউনিয়নকে এই খাদক শ্রেণীর হাত থেকে রক্ষা করে একটি আদর্শ ইউনিয়নে রূপান্তরের লক্ষ্যে আমি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে আমার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার এই সংগ্রামে ইতিমধ্যে আমি ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি তৃণমূলের ত্যাগী ও বঞ্চিত দের মনোনয়ন দেন, তাহলে কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন থেকে আমিই দলীয় মনোনয়নের একমাত্র দাবিদার । তিনি আরো বলেন, আমি যদি নৌকা পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে সকল সম্পদের সুষ্ঠু বন্টন ও ব্যবহার নিশ্চিত করে সার্বিক সমন্বয়ের মাধ্যমে গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন ।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।