বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
কলারোয়ায় মুজিব বর্ষের ঘর নির্মাণে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি
কলারোয়ায় মুজিব বর্ষের ঘর নির্মাণে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি

কলারোয়ায় মুজিব বর্ষের ঘর নির্মাণে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি

সেলিম খান :

চলছে বাংলার রাখাল রাখাল রাজা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। মুজিব শতবর্ষ সামনে রেখে অঙ্গীকার মধ্যে অন্যতম অঙ্গীকার ঘরেহীনদের ঘর যার জমি নেই তাদেরকে জমিসহ ঘর প্রদান। কিন্তু সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলা প্রশাসন এই অঙ্গীকারকে করেছেন নিজের পুঁজি। সরকার যখন নিজের দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসছেন বিভিন্ন অনিয়মের জন্য। ঠিক সে সময় সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলা প্রশাসন নিজের ইচ্ছা মতো করছেন সরকারের মহৎ উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ। একদিকে যেমন ক্ষুন্ন হচ্ছে সরকারের সম্পদ অন্যদিকে সরকারের নষ্ট হচ্ছে সুনাম।
অভিযোগ আর অনিয়মের অন্ত নেই কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনের, তার ভিতরে কলারোয়ার কেড়াগাছি ইউনিয়নের রাজপুত গ্রামের বন্যায় কবলিত হওয়ার পরা অসহায় মানুষের দেওয়া ঘর। সরকারের নিজস্ব জমিতে নির্মাণ করা হয় সেই ঘরগুলো। সেই ঘরগুলো এখন জরাজীর্ণ হয়ে পড়লে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সেই হতদরিদ্রদের মাঝে দেয়া হচ্ছে নতুন ঘর। কিন্তু এই ঘর নিয়ে উঠেছে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ। ভেঙ্গে ফেলা পুরাত সেই ঘরের ইটদিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন ঘরের দেওয়াল। নতুন ঘর বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে পুরনো সেই ঘরগুলো। এতে করে মানবতার জীবন-যাপন করছে বর্তমান এ পরিবারগুলো। পলিথিন দিয়ে ঘিরে কোন রকমে দিন যাপন করছে মানুষ গুলো । নতুন ঘর বুঝিয়ে দেওয়ার আগে পুরাতন ঘর ভেঙে ফেলার নিয়ে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হতে দেখা গিয়েছে এলাকাটিতে।

এলাকার একজন সাধারন মানুষ আমজাদ সাংবাদিকের দেখান ঘরের দেওয়াল পাঁচদিনের তৈরি হলেও টান দিতেই ভেঙে পড়ে যাচ্ছে সিমেন্টের বালাই নেই বললেই চলে।মিস্ত্রি সেলিমের সাথে কথা বললে, মিস্ত্রি সেলিম সাংবাদিকদের জানান আমাদেরকে যেভাবে বলা হয়েছে আমরা সেভাবেই কাজ করছি।ভাটা থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে দুই নাম্বারি মিস্ত্রি সেলিম সাংবাদিকদেরকে আরো জানান এটাও নাকি তাকে দিতে হয়েছে এই ঘর তৈরি করতে। ইটের বিষয়ে জানাজানি হলে পুরাতন ইট সরিয়ে তৈরি করা হবে দুই নাম্বর ইট।অসহায় গরিব মানুষ এটা ঘর নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন অল্প ঝড়েই ভেঙে যেতে পারে এ-ঘর বলে মনে করছেন ঘর প্রত্যাশী মানুষগুলো।
এলাকার মহিলা জনপ্রতিনিধি সাংবাদিকদের জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দরিদ্র মানুষের জন্য যে ঘর দিয়েছেন যে নির্দেশনা ঘর তৈরিতে রয়েছে। সেটাই করার দাবি জানান সাংবাদিকদের মাধ্যমে।

আগের ভেঙে ফেলা পুরাতন ঘরের টিন রড ইটের কোনরকম টেন্ডার বা নিলাম ছাড়াই বিক্রি হয়ে গেছে বলে একটি অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী জেরিন কান্তা প্রতিবেদকে বলেন,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)আমাকে কিছু না জানিয়ে এই ব্যারাক ভেঙ্গে ইট দিয়ে ঘর করেছে এবং সরকারী নিয়ম না মেনে স্থাপনা সরানোর কারনে আমি উনার নামে থানায় জিডি করবো। সুষ্ঠু একটি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সাধারন মানুৃষ।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।