শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কলারোয়ায় বিভিন্ন অনিয়মের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ম্যারাথন ঢাকা ২০২১
কলারোয়ায় বিভিন্ন অনিয়মের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ম্যারাথন ঢাকা ২০২১

কলারোয়ায় বিভিন্ন অনিয়মের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ম্যারাথন ঢাকা ২০২১

সেলিম খানঃ

শনিবার ২৭ফেব্রুয়ারি সকাল ১০থেকে কলারোয়ায় শুরু হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ম্যারাথন ঢাকা ২০২১। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কলারোয়া প্রশাসন ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা। অধিক অনিয়ম আর বিশৃংখলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো কলারোয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ম্যারাথন ঢাকা ২০২১।

দৌড় প্রতিযোগিতার অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় বাঁশি দেওয়ার সাথে সাথে ছেলেরা দৌড় দিতে শুরু করে কলারোয়া ফায়ার সার্ভিস এবং প্রশাসন তাদের রাস্তা এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। সেখানে উপস্থিত অন্য ছেলেমেয়েরাও বাঁশি শুনতে পাননি বলে অভিযোগ তোলেন। ততক্ষণে আগে দৌড় প্রতিযোগীরা প্রায় এক/দের কিলোমিটার পৌছে যাই ৩০/৪০ জন প্রতিযোগী। কিন্তু প্রশাসক তাদের কে না জানিয়ে বা ফায়ার সার্ভিসকে আবার মূলকেন্দ্রে না ডেকে দৌড়প্রতিযোগীদের ডিসকোয়ালিফাই করে দেয় প্রশাসন। ঝাঁপাঘাট থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বে কলারোয়া পৌরসভা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল দৌড় প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিরা সাংবাদিকদেরকে জানান আমরা বঙ্গবন্ধু কলেজে এসে জানতে পাড়ি আমরা ডিসকোয়ালিফাই হয়েছি। ৫ কিলোমিটার দৌড়ে এসে এটা একটি মর্মান্তিক ব্যাপার বলে উল্লেখ করেন দৌড়ে অংশগ্রহণ করা প্রতিযোগিতা।

এতে করে প্রতিযোগিতার মধ্যে একটি বিশৃংখলার সৃষ্টি হতে দেখা যায়। কলারোয়া পুলিশ উপস্থিত থেকে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে আর বার বার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগিরা বিভিন্ন রকম হইচই মিছিল মেইনরোড গাড়ি চলাচল বন্ধের চেষ্টা করতে থাকে। কলারোয়া থানা পুলিশ সুদক্ষতার সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটি আয়োজক কমিটি পরিচালনা কমিটি কোনরকম দেখা যায়নি প্রতিযোগীদের পাশে। প্রতিযোগিতার নিয়ন্ত্রণ করে নিয়ে আসা মাইক বাহি একটি গাড়িতে বক্তব্য দিতে দিতে যাওয়া ব্যক্তি খারাপ আচরণে বিপরীতমুখী ধাবিত হতে থাকে ডিসকোয়ালিফাই প্রতিযোগিরা তারা পরিস্থিতি অবনতি ঘটাতে থাকে আয়োজন কমিটির স্বেচ্ছাসেবীরা। সে খানে কলারোয়া থানা পুলিশ আবার শান্ত করে প্রতিযোগিতা।
বিভিন্ন অভিভাবক অভিযোগ করতে থাকে একটি পরিকল্পিত পাতাল খেলার আয়োজন করেছে। দৌড়ে অংশগ্রহণ করা প্রতিযোগিতা অসুস্থ হতে দেখা যায় বিভিন্ন রাস্তাতে। ছিল একটি অ্যাম্বুলেন্স কিন্তু ছিলনা কোন সার্ভিস।

অসুস্থ প্রতিযোগীদেরকে উদ্ধার করেন স্থানীয় মানুষ অন্য প্রতিযোগিরা নিয়ে আসেন হাসপাতালে। একটি অসুস্থ প্রতিযোগীকে দেখা যায়নি অ্যাম্বুলেন্সে। অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ড্রাইভার সাথে কথা বললে তিনি জানান আমাদেরকে কেউ অবগত করেন নি তবে কেন নেয়া হয়েছিল এমবুলেস? কোন উত্তর দিতে পারেন নি অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার। ডিসকোয়ালিফাই এবং দৌড় প্রতিযোগিতা গ্রহণকারী কোন প্রতিযোগীকে পানি কিংবা রাস্তায় সুরক্ষা দেয়া হয়নি। চলাচল করতে দেখা গেছে স্থানীয় পরিবহন ভ্যান ইজিবাইক সিএনজি সহ বিভিন্ন ভারী যানবাহন, এগুলোর ভীতর দিয়েই দুর্ঘটনা কে জয় করে দৌড় দিতে হয়েছে এই ম্যারাথন টিতে। সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও সেনাবাহিনী থাকতে পারিনি এই অনুষ্ঠানটিতে। ছিলনা কোন পানি, অসুস্থ চিকিৎসার ব্যবস্থা।এসব তথ্য আমাদেরকে জানিয়েছেন বিভিন্ন দৌড় প্রতিযোগিতা শুধু তাই নয় সেখানে মোটর সাইকেল ভ্যান ও সিএনজি মাধ্যমে দৌড় প্রতিযোগিতা এসে কলারোয়া বয়েজ স্কুলের রোডে ত্রিমাথা মোড়ে থেকে দৌড় দিতে দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদেরকে। কিন্তু গাড়িতে আসুক আর দৌড়ে আসুক সেটা তাদের দেখার দরকার নেই বলেন বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে ফার্স্ট সেকেন্ড নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তিবর্গ। কোন প্রতিযোগিতায় ছিলনা বিশেষ পোশাকের ব্যবস্থা। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন ফ্রেন্ডশিপ স্পোটিং ক্লাব কলারোয়া। অনুষ্ঠানের অন্যতম ব্যক্তিত্ব জাহিদ খান চৌধুরী সাংবাদিকদেরকে জানান সকল ভুল ছিল আজকের ম্যারাথন টিতে নতুন ম্যারাথন বিষয়ে অদক্ষ স্বীকার করে তিনি বলেন আমরা এখানে ফার্স্ট সেকেন্ড বিষয়টি দুই পক্ষকে নিয়ে যাচাই-বাছাই করে একটি নির্ধারণ করবো বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদেরকে। তিনি আরো জানিয়েছেন সন্তুষ্ট পূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নেবে কলারোয়া প্রশাসন। কিন্তু কলারোয়া প্রশাসক সাথে যোগাযোগ চাইলে কোনরকম যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মোবাইল ফোনে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।