নতুন সূর্য ডেস্কঃ
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়েছেন পরিচালক ডাঃ এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ। এ সময় নিয়মবহির্ভূত ভাবে মজুদ রাখা বেশ কিছু ওষুধ জব্দ করেন তিনি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফার্মাসিস্ট এস এম আব্দুল মফিজকে শোকজ করা হয়েছে। এর আগেও মফিজের বিরুদ্ধে সরকারি ওষুধ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২০ সালের ১১ মার্চে খুমেক হাসপাতালের বহির্বিভাগের ফার্মেসীতে ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পান এসএম আব্দুল মফিজ এবং ২০ মার্চ তাকে ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দায়িত্ব হস্তান্তর করলেও ফার্মেসীতে অবস্থানরত আলমারীর চাবি বুঝিয়ে দেয়নি। বিষয়টি পরিচালকের নজরে আসলে তিনি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ অর্পনা বিশ্বাস, সার্জারি কনসালট্যান্ট ডাঃ বিপ্লব বিশ্বাস, মেডিকেল অফিসার ডাঃ জিলুর রহমান তরুণকে সাথে নিয়ে ফার্মেসীতে স্টক রেজিস্ট্রার অনুযায়ী ওষুধ মিলাতে যান। এ সময় অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়মবহির্ভূতভাবে ক্যাপসুল সেফিক্সিক (৪০০ মিঃ গ্রাম) ৬০০ পিস, ট্যাবলেট ক্লোপিড (৭৫ গ্রাম) ৪৫০ পিস এবং ক্যাপসুল ফ্লুক্লক্স ১ হাজার ২শ’ পিস ওষুধ মজুদের সত্যতা পায় ফার্মাসিস্ট মফিজের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার তাকে শোকজ করেন হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ। আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শোকজে উলেখ করা হয়, রোগীদের জন্য নির্ধারিত সরকারি ওষুধ ক্যাপসুল সেফিক্সিক (৪০০ মিঃ গ্রাম) ৬০০ পিস, ট্যাবলেট ক্লোপিড (৭৫ গ্রাম) ৪৫০ পিস এবং ক্যাপসুল ফ্লুক্লক্স ১ হাজার ২শ’ পিস বুঝিয়ে না দিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজের কাছে রাখেন। যা সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা পরিপন্থী অপরাধ। সেহেতু কেন আপনার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার সন্তোষজনক জবাব আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে পরিচালকের বরাবর নিদের্শ প্রদান করেন।
খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এটি এম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ফার্মাসিস্ট মফিজকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়।
সূত্রটি জানায়, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের থাকা অবস্থায় ফার্মাসিস্ট এস এম আব্দুল মফিজের বিরুদ্ধে সরকারি ওষুধ অবৈধভাবে পাচারের অভিযোগে ছিল। দীর্ঘ ৭-৮ বছর আগে পুলিশের একটি টিম সরকারি ওষুধসহ একজন কে আটক করেছিলো। ওই ছেলের স্বীকারোক্তিতে তৎকালীন ফার্মাসিস্ট ইনচার্জ এস এম আব্দুল মফিজের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিলো।