শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
লকডাউনে বাড়িতে গিয়ে শোকজ হলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১০ কর্মচারী
লকডাউনে বাড়িতে গিয়ে শোকজ হলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১০ কর্মচারী

লকডাউনে বাড়িতে গিয়ে শোকজ হলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১০ কর্মচারী

নতুন সূর্য ডেস্কঃ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল থেকে চলছে বিধিনিষেধ। সাধারণ ছুটি হিসেবে ঘোষণা করায় এতে বন্ধ রয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তবে এ সময় কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ।

সরকারের এ নির্দেশ অমান্য করে কর্মস্থল থেকে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের ১০ জন কর্মচারী। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কর্মচারীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব (প্রশাসন) রোকসানা রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদের শোকজ দিয়ে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শোকজের চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনার বিস্তার রোধে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল এবং তার অনুবৃত্তিক্রমে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে। এ সময়ে সব সরকারি, আধা-সরকারি , স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন মর্মে ঘোষণা করা হয়।

সরকারের এ আইনসঙ্গত আদেশ অমান্য করে কর্মস্থল ত্যাগ করে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ বিধি ৩ (খ) অনুযায়ী অসদাচরণ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অসদাচরণের অপরাধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার কারণ আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

শোকজ খাওয়া কর্মচারীরা হলেন- উচ্চমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. আকরাম হোসেন,  ক্যাটালগার মো. এহসানুল, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মুন্নি আফরোজ, সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল ইসলাম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক তাসলিমা আক্তার, সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মোস্তফা কামাল, অফিস সহায়ক রুমা আক্তার, জুয়েল, সোবাহান আলী ও দেলওয়ার হোসেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও উন্নয়ন) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, তারা সরকারি আদেশ অমান্য করে করোনার মধ্যে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাদেরকে ফোন দেওয়া হয়। তারা নিজেরাই স্বীকার করেছে বাড়ির যাওয়ার বিষয়টি। এজন্য তাদের শোকজ করা হয়েছে।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।