মানুষ স্বপ্নের রাজ্যে স্বর্গে বসবাস করে অর্থাৎ তাঁরা নিজেকে নিয়ে সবচেয়ে বড় স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে। তেমন শিক্ষার্থীরা এইস এস সি পরীক্ষা দেওয়ার কল্পনায় তাদের স্বর্গ রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে বসবাস করেন। কল্পনায় কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে, আবার কখনো স্বপ্নের ঘরে তারা ক্লাশ রুমের দীপ্তময় বেঞ্চে কোন এক সুনামধন্য শিক্ষকের ক্লাসে মনোযোগী আবার কখনো সোনালী ক্যামপাশের পূর্ব থেকে পশ্চিমে অপরিচিত কোন এক অপরুপার পিছনে ছুটে চলা। আসলে এব কল্পনা আসল রূপ খুবই ভিন্ন কারন প্রতেকটা স্বপ্নের বিপরীতে খুবই সীমিত সংখ্যক স্বপ্ন বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচিয়ে রাখে কারন এ মহা কারখানারতো একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
কিন্তু কারা কল্পনাকে বাস্তব রূপে প্রতিফলিত করে তাদের কি ঐশ্বরিক ক্ষমতা এ প্রশ্ন প্রতিনিয়ত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। কিন্তু আমরা কখনো নিজেদের ব্যর্থতা নিয়ে চিন্তা করিনা। আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার আগে তার মত প্ররিশ্রমী শৃঙ্খলা ও কর্মব্যস্ততায় লিপ্ত হতে হবে। তা নাহলে আপনি হাজার স্বপ্নকে ফাঁকি দিয়ে কি করে নিজের স্বপ্নকে দুপুরের দীপ্তমান সূর্যের মতন নিজেকে ফুটিয়ে তোলবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সফল হওয়ার জন্য হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের কিছু করনীয় তুলে ধরা হলো।
১.মান সম্মত বই নির্ধারণ করা।
বেশিরভাগ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কোচিংয়ের পরামর্শে মানহীন বই পড়াশোনা করে এখানে তাদের উচিৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া কোন শিক্ষার্থীর নিরপেক্ষ পরামর্শ নিয়ে মানসম্মত বই পড়া।
২.লক্ষ সুনির্দিষ্ট করা।
বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা কোন বিষয়ে পড়বে নির্দিষ্ট করতে তখন তারা বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তুতি নেয় তার তারা পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হলে বেশিরভাগ সময় তারা ব্যর্থ হয়।
৩.অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস অথবা আত্মবিশ্বাসের অভাব রাখা যাবেনা।
অনেকের মধ্যে দেখা যায় অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস, আবার অনেক শিক্ষার্থীই পর্যাপ্ত আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভালো করতে পারেন না ভর্তি পরীক্ষায়। এই আত্মবিশ্বাসহীনতা তাদের হতাশার দিকে ঠেলে দেয়। আবার মাত্রাতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসও ক্ষতিকর। ভালো ফলের জন্য দরকার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রচেষ্টার সংকল্প।
৪ .পড়ার সময় কৌশল অবলম্বন করে পড়তে হবে।
মুখস্ত করার সময় বিশেষ করে আপনার পরিচিত কোন বিষয়ের সাথে মিলিয়ে মনে রাখবন তাহলে স্হায়ীত্ব বেশি হবে।
৫.অন্যদের থেকে বেশি প্রস্তুতি নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় চান্স সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো অন্যদের থেকে বেশি জানা কারন এখানে নির্দষ্ট কারিকুলাম নেই বললেই চলে সুতরাং বেশি পড়লে বেশি কমন পড়ার সম্ভাবনা যেটা অন্যদের থেকে আপনাকে পার্থক্য করে দেবে।
৬.না বুঝে মুখস্থ করার প্রবণতা
ভর্তি পরীক্ষার মৌসুমে বিষয়ভিত্তিক গভীর জ্ঞান অর্জন করা দরকার । কিন্তু পুরো বইয়ের ওপর পরীক্ষা হলে অথই জলে পড়তে হয়। তখন আর মুখস্থ করে পার পাওয়ার সুযোগ থাকে না। যদিও একবার ভালোভাবে বিষয়টি বুঝে নিলে তা সহজেই মনে পড়ে যা
৮.পর্যাপ্ত অনুশীলনের করতে হবে
ভর্তি প্রস্তুতিতে প্রয়োজন প্রচুর অনুশীলন। অনুশীলনের মাধ্যমে কেটে যায় আত্মবিশ্বাসহীনতা, বাড়ে দক্ষতাও তাই পরীক্ষার হলে কয়েকটি বই অনুশীলন করতে হবে।
সুতরাং বলা যায় শুধুমাত্র সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় নামের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়া যায়।