বিশেষ প্রতিনিধি : চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে প্রচারনায় জমে
উঠেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১১নং ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের চায়ের দোকানসহ
গ্রামের মধ্যে। সম্প্রতি সুশাসন ও দূর্নিতীমুক্ত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠায়
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সহ-সভাপতি ও
ঝাউডাঙ্গা মহা-শ্বশান ও মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক তরুন জনপ্রিয় নেতা
জয়দেব কুমার ঘোষ চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে শক্ত অবস্থান
করায় কোনাঠাসা হয়ে পড়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা আজমল উদ্দীনসহ
অন্য প্রার্থীরা। অপরদিকে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাবেক চেয়ারম্যান
রফিকুল ইসলাম নাশকতসহ বিভিন্ন মামলাজটে প্রচারনায় পিছিয়ে থাকলেও দলীয়
নেতা-কর্মি ও জামায়াতের সাথে দফায় দফায় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে
ইউনিয়নে জামায়াতের প্রার্থী না থাকায় তারুণ্যের প্রতিনিধি হিসেবে ক্লিন
ইমেজধারী জয়দেব কুমার ঘোষ দলীয় ভোটের মাটের লড়ায়ে রয়েছে সুবিধাজনক
অবস্থানে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইউনিয়নে তরুন ভোটার বৃদ্ধি ও জয়দেব
প্রার্থী হওয়ায় ভোটের সমিকরণ জটিল হয়ে পড়ছে। গত পাঁচ বছরে অনিয়ম ও
স্বজন-প্রিতির কারনে বর্তমান চেয়ারম্যান আজমল উদ্দীনের জনপ্রিয়তায় ধস
নামায় দলীয় নৌকা প্রতিকের দৌড়ে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। এসুযোগে দীর্ঘদিন
মাঠে থাকা তরুন আ.লীগ নেতা জয়দেব কুমার ঘোষ নিজ সম্প্রদায়ের (হিন্দু) ও
তরুন ভোট প্রায় শতভাগ নিশ্চিত করায় দলীয় নৌকা প্রতিকের দৌড়ে এগিয়ে আছেন।
যদিও, বর্তমান চেয়ারম্যান আজমল উদ্দীন পুনরায় নৌকা প্রতিক নিজ দখলে রাখতে
দৌড়ঝাপ শুরু করেলেও সাধারণ ভোটাররা তার বিরুদ্ধে অবস্থান করায় নির্বাচনে
পরাজয়ের সম্ভ্যবনাই বেশি। এছাড়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও জেলা যুবলীগের
সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন সাজু ও বর্তমান চেয়ারম্যান ঘরনার সদর
উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন
দলীয় মনোনয়নের জন্য দাবি করায় আগামী নির্বাচনে ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে
স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ফলে নৌকা, ধানের শীষ ও
স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাথে মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে। সেক্ষেত্রে
সুবিধাজনক স্থানে থাকবেন জয়দেব কুমার ঘোষ এমনটি ধারনা স্থানীয় রাজনৈতিক
বিশ্লেষকদের।
জানাগেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১১নং ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের নির্বাচনী
ইতিহাসে মূলত নৌকা, ধানের শীষ ও জামায়াতের প্রার্থীর মধ্যে
প্রতিদ্বন্দিতা হয় কিন্তু এবার জামায়াতের প্রার্থী না থাকায় পাল্টেগেছে
ভোটের মাঠের সমিকরণ। তবে ভোটযুদ্ধ হবে জয়দেব কুমার ঘোষের সাথে বিএনপি
দলীয় প্রার্থীর মধ্যে।
ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় খোজনিয়ে জানাগেছে, দীর্ঘ তিন বছর যাবত
গনসংযোগ ও করোনাকালীন সময়ে আ.লীগ দলীয় নেতা-কর্মিদের সাথে নিয়ে গরীব,
অসহায় ও সাধারণ মানুষের পাশে থাকে বিভিন্ন সহযোগিতা করায় ইউনিয়নে শক্ত
অবস্থান তৈরি করেছেন। ইউনিয়নে তার কর্মী-সমর্থকের সংখ্যাও বেশি। এ ছাড়াও
ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক ও বর্তমান অধিকাংশ নেতা-কর্মি তার পক্ষে অবস্থান
করায় প্রচার-প্রচারণাও এগিয়ে রয়েছেন। ্এরই মধ্যে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ
নিজেদের উদ্দ্যেগে জয়দেব ঘোষের পক্ষে পোস্টার টানানো শুরু করেছে। ইউনিয়নে
প্রায় ৩২ হাজার ভোটের মধ্যে সনাতন (হিন্দু) সম্প্রদায় ও তরুন ভোট রয়েছে
১১ হাজারের অধিক যেটা জয়দেব ঘোষের নিজস্ব ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত।
এছাড়া স্থানীয় আ.লীগ নেতাদের সাথে নিয়ে ব্যাপক গন-সংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন
ক্লিন ইমেজধারী তরুন এই আ.লীগ নেতা।
অন্যদিকে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা আজমল উদ্দীনের বিরুদ্ধে
সাধারণ ভোটাদের অভিযোগ, রয়েছে। এবং দলীয় ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করায়
দলীয় ত্যাগী নেতারা বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
অপরদিকে একই ধরনের অভিযোগ বিএনপি দলীয় প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল
ইসলামের বিরুদ্ধে। তবে তিনি নিজ দলকে সংগঠিত করা এবং জামায়াত নেতাদের
সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানাগেছে। সব মিলিয়ে সাধারণ ভোটাররা এবার
ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নতুন মুখ দেখতে চান বলে মন্তব্য করেন
বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানাগেছে, ১১নং ঝাউডাঙ্গা
ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩২ হাজার। এরমধ্যে মহিলা ও
পুরুষ ভোট প্রায় সমান।