বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঠাণ্ডা পানির শরবত খাওয়ালেন যবিপ্রবি’র গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঠাণ্ডা পানির শরবত খাওয়ালেন যবিপ্রবি’র গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা

পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঠাণ্ডা পানির শরবত খাওয়ালেন যবিপ্রবি’র গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা

যবিপ্রবি প্রতিনিধি

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এ (বিজ্ঞান) ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের ব্যাগ, মোবাইল, বই, খাতা জমা রাখা সহ লেবুর শরবত ও সুপেয় পানি পানের ব্যবস্থা করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের (যবিপ্রবি) বিভিন্ন ক্লাব-সংগঠন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রায় চার হাজার পরীক্ষার্থী ও তাঁদের সাথে আসা অভিভাবকদের জন্য ইনফরমেশন এন্ড হেল্পডেস্ক স্টল দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করতে দেখা গেছে যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি, যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু ক্যারিয়ার ক্লাব, চৌগাছা স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন, যবিপ্রবি ব্লাড ব্যাংক ও গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া অভিভাবকদের জন্য যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজে বসার ব্যবস্থা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে বিনামূল্যে সুপেয় লেবুর শরবত ও পানি পানের ব্যবস্থা করে যবিপ্রবি ব্লাড ব্যাংক ও গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পয়েন্টে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

শিক্ষার্থীদের ব্যাগ, মোবাইল, বই, খাতা জমা রাখা সহ ইনফরমেশন এন্ড হেল্প ডেস্ক স্টল দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করে যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি, যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু ক্যারিয়ার ক্লাব, চৌগাছা স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, এপ্রিলের এই কাঠফাটা রোদ আর তীব্র গরমে যেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকাই মুশকিল। জনজীবন হয়ে পড়েছে দুর্বিষহ সেখানে সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে ভর্তি পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা আসতে শুরু করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এবারে যশোরের গড় তাপমাত্রা চলছে ৪২° এর কাছাকাছি, সেখানে মানুষের পক্ষে এই দুপুরের রোদে চলাচল হয়ে যাচ্ছে অত্যন্ত কষ্টকর। তীব্র এ গরমের কথা চিন্তা করে আমরা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের একটু শান্তি দেওয়ার জন্য বিনামূল্যে সুপেয় লেবু পানির ব্যবস্থা করি। ঠান্ডা পানি পান করার পর অত্যন্ত খুশি অবিভাবক এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীরা।

সুপেয় পানি খেতে আসা এক অভিভাবক বলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তীব্র গরমের মধ্যে অনেক কষ্ট করে এইরকম একটি স্বেচ্ছাসেবামূলক আয়োজন করেছে এতে আমরা অভিভাবকসহ সকলেই অত্যন্ত আনন্দিত। আমি এই প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।