বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
কলারোয়া খোরদো থেকে হারিয়ে যাচ্ছে কাবাস তুলার চাষ
কলারোয়া খোরদো থেকে হারিয়ে যাচ্ছে কাবাস তুলার চাষ

কলারোয়া খোরদো থেকে হারিয়ে যাচ্ছে কাবাস তুলার চাষ

খোরদো প্রতিনিধি আহসান উল্লাহ:
কলারোয়া উপজেলা খোরদো গ্রাম থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে শত বছরের তুলা চাষ। পূর্বে এই তুলা চাষ বাংলার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। এই তুলার ব্যবহার গ্রাম থেকে শহর, পোশাক খাত থেকে মেডিকেল খাত সর্বস্তরে রয়েছে। গ্রামে মানুষ শিমুল তুলার পাশাপাশি কাবাস তুলা দিয়ে বালিশ লেপ তোষক তৈরি করত। নব বিবাহিত মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে উপহারস্বরূপ পাঠানো হতো বিভিন্ন ধরনের বালিশ লেপ তোষক সেটাও এই তুলার তৈরি। তুলা থেকে সুতা আর সেই সুতা থেকে বোনা হয় বিভিন্ন রকম কাপড়। তুলা সংগ্রহের পর সেটিকে পাঠানো হয় স্পিনিং মিলে সেখানে মেশিনের মাধ্যমে বোনা হয় সুতা। রাসায়নিক প্রক্রিয়া করা হয় বিভিন্ন রকম রং বোনা রঙ্গিন কাপড়।পোশাক খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। পোশাক শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান এই তুলা। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের দেশে তুলা উৎপাদন খুবই কম হওয়াই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এই তুলা আমদানি করতে হয়। বিগত অর্থবছরে তুলা আমদানিতে ২য় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। অপরদিকে চীন বিশ্বের পোশাক খাতে প্রথম স্থানে রয়েছে। চীনের এই শিল্পকে ধরে রাখতে তুলা আমদানির প্রয়োজন পড়ে না কারণ তারা দেশের অভ্যন্তরে তুলা চাষে ব্যাপক বিপ্লব ঘটিয়েছে। এই তুলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার রয়েছে মেডিকেল খাতেও। খোরদো গ্রামের একজন তুলা চাষী মনি মোল্লা জানান, এই তুলা চাষ পূর্বে বাপ-দাদারা করে আসছে। তিনি বর্তমানে ৩৩ শতক জমিতে তুলা চাষ করেছেন। তুলা উন্নয়ন বোর্ড তাকে তুলা চাষের জন্য বীজ কীটনাশক রাসায়নিক সার সহ যাবতীয় পরামর্শ প্রদান করছে। তিনি আরো জানান যদি এসব সুযোগ সুবিধা গুলো আরো বাড়ানো যায় এবং কৃষকদের মাঝে তুলে ধরা হয় তাহলে আরো তুলা চাষ বাড়বে। আহসান উল্লাহ

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।