বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
সাতক্ষীরার নাজিমগঞ্জ ও ভারতের হিঙ্গলগঞ্জ নৌ-বন্দর চালুর  অনুমোদন
সাতক্ষীরার নাজিমগঞ্জ ও ভারতের হিঙ্গলগঞ্জ নৌ-বন্দর চালুর  অনুমোদন

সাতক্ষীরার নাজিমগঞ্জ ও ভারতের হিঙ্গলগঞ্জ নৌ-বন্দর চালুর অনুমোদন

নতুন সূর্য ডেস্কঃ

সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বিখ্যাত নাজিমগঞ্জ এবং ভারতের হিঙ্গলগঞ্জের মধ্যে বিদ্যমান নৌ-রুটটি পুনরায় চালু করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ জন্য সাতক্ষীরাবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন সাতক্ষীরা’র বিজ্ঞ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোস্তফা কামাল। পরস্পরায় জেলা প্রশাসক এম এম মোস্তফা কামালকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কালিগঞ্জ তথা সাতক্ষীরা জেলাবাসী। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এধরনের একটি আবেদনের অনুমোদন দিয়েছেন বলে, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল নিশ্চিত করেছেন। জেলা প্রশাসক সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলা সদর, কলারোয়া, দেবহাটা, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর এই পাঁচটি উপজেলার সাথে ভারতের ২৭১ কিলােমিটার দৈর্ঘ্যের সীমান্ত রয়েছে। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পূর্বে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় বসন্তপুর নামক স্থানে, একটি নৌ-বন্দর বিদ্যমান ছিল এবং উক্ত নৌ-বন্দর, বসন্তপুর পোট হতে ভারতের হিঙ্গলগঞ্জ পর্যন্ত যাতায়াত ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু ছিল। সেখানে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন বিভাগের কার্যক্রমও চালু ছিল। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পর উক্ত নৌরুটটি বন্ধ হয়ে যায়, স্থানীয় জনগণ উক্ত রুটে সে সময় যাতায়াত করত। স্বাধীনতার পরও এই পথ দিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে দুই দেশের মানুষের চলাচল ছিল। নৌপথে উল্লিখিত স্থান দিয়ে কালিগঞ্জের বিখ্যাত নাজিমগঞ্জ বাজার ও ভারতের হিঙ্গলগঞ্জের মধ্যে বাণিজ্য ও সাধারণ পর্যটকদের যাতায়াতের বাবস্থা চালু ছিল। যা ১৯৯৬ সালের পরে আইনানুগভাবে পুনরায় চালু না করার কারণে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। পোর্ট চালু থাকাকালীন শুল্ক বিভাগের ব্যবহৃত “রামজননী” নামক ভবনটি এখনও শুল্ক বিভাগের গুদাম হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতি বছর শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলার প্রায় এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার পর্যটক চিকিৎসা, ভ্রমণ, বাণিজ্য ইত্যাদি কারণে, ভারতে গমনাগমন করেন। প্রস্তাবিত নৌরুট স্থাপিত হলে তারা ৪৮ কিলোমিটার দূরবর্তী ভােমরা পােটে না গিয়ে, সহজে সাশ্রয়ীভাবে নাজিমগঞ্জ নৌরুট ব্যবহার করতে পারবেন। নৌপথে পণ্য পরিবহন তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী বিধায় পণ্য পরিবহন খরচও কম হবে। প্রস্তাবিত নৌরুটটি চালু হলে আন্তঃদেশীয় প্রবাহমান ইছামতি নদী পথে ভারতের বসিরহাট পাের্ট হতে বাংলাদেশের মংলা পাের্ট পর্যন্ত পণ্য আমদানি-রপ্তানি করাও সম্ভব হবে। সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুর পাের্ট (বর্তমানে বিলুপ্ত) পুনরায় পরীক্ষা নিরীক্ষাপূর্বক চালুর বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের জনা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। নৌবন্দরটি কবে নাগাদ চালু হচ্ছে সেবিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা, তবু আশার আলো দেখছেন স্থানীয়রা। তারা জানিয়েছে, এই বন্দর চালু হলে, সেখানে বেড়ে যাবে মানুষের কর্মসংস্থান।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।