নতুন সূর্য ডেস্কঃ
সাতক্ষীরার কালারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের দিগং গ্রামের মাঠে চলছে অবৈধ মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন।ঠিকাদার রাসেদ প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে তার ইচ্ছামত বালু উত্তোলন করছে।এর কারণে বিপাকে পড়েছে পাশের রাস্তা ও ফসলি জমিগুলা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,রাতে বালু উত্তোলন করে পুকুরে মেশিন রেখে চলে গেছে কর্মচারীরা।পুকুরের মালিকের সাথে কথা বললে পুকুর মালিক আব্দুল্লাহ বলেন, আমার পুকুরে বোদ দিয়ে ভরে যাবার করনে আমি উপরের বোদগুলো তুলে দিতে বলেছি তার বেশি নয়। কিন্তু সাংবাদিকরা সরজমিনে গিয়ে বোদ নয় সাদা বালু উত্তোলন হচ্ছে এবং বোরিং করা হচ্ছে বললে পুকুর মালিক আব্দুল্লাহ জানায়, সে রকম কিছু হলে আমি বালু উত্তোলন বন্ধ করাবো। ঠিকাদার রাসেদের সাথে কথা বলে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন উপজেলার নেতাদের নাম ভাঙ্গানোর চেষ্টা করলে করে পার পাইনি।
পুকুর মালিক না কি তাকে বালু তুলতে মানাও করেনি।এই ঠিকাদার আরো বলেন, ১২ বিঘা পুকুরের উপরে আমি ১৫ দিনে মাত্র ২বিঘা পুকুরের জমি থেকে ১ ফুট করে ২ ফুট বালু উত্তোলন করছি । ৮ বিঘা জমির উপর রাখা হয়েছে এক ফুটের বেশি হওয়ার কথা নয়। ঠিকাদার রাসেদের বক্তব্যের সাথে কোন মিল পায়নি সাংবাদিকরা ৮ বিঘা জমিতে যদি এক ফুট করে বালু তোলা হয় তবে সেটা ৮ ফুট দাঁড়ায় সেখানে এক ফুটের বেশি করে বালু জমা রয়েছে ৮ বিযা জমির উপর।
উপরে জমিকে এক চাষী সাংবাদিকদেরকে জানান এখানে বালি উত্তোলনের ফলে আমাদের ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। এর আগেও নাকি এই পুকুর মালিক প্রচুর বালু উত্তোলন করেছিল বলে জানান। এ বিষয়ে হেলাতলা ইউপি সদস্য দিগং গ্ৰামের মেম্বার সোহারাব হোসেন সাংবাদিকদের জানান তিনি এ বিষয়ে বাধা দিলেও পুকুর মালিক শুনছেন না। এ বিষয়ে ভূমি অফিসে একটি অভিযোগ করা হলে ভূমি অফিস থেকেফোন দিয়েছেন কিন্তু কোন কাজ হয়নি বলে জানিয়েছেন এই মেম্বর। মেম্বর আরও বলেন কোনো নেতার নাম নিয়ে পার পাওয়া যাবে না অপকর্মে । ১২ বিঘা জমি সম্পূর্ণটাই রাস্তার পাশে গিয়ে যা বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তাটি হুমকির মুখে পড়ে যেতে পারে এবং এখনি ভাঙ্গন ধরেছে।
প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদেরকে।