সেলিম খান, প্রতিনিধিঃ
শীত আসার সাথে সাথে বেড়ে যায় খেজুরের গুড়ের চাহিদা। কিন্তু শীত ভোজন রসিক মানুষের জন্য প্রিয় সময়। শীত মানে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা, শীত মানে বিভিন্ন শীতকালীন সবজি রান্না, শীত মানে আবার কিন্তু পিঠা পায়েস, খেজুর-গাছের-রস আর রসের গুড়।শীতের পিঠা পায়েস রসের আমেজ আসার সাথে সাথেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা গাছিরা। রস দিয়ে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে গ্রামের মহিলারা। সাতক্ষীরা জেলার রসের সুনাম আছে প্রাচীন আমল থেকেই। এখানকার খেজুর গুড়ের চাহিদা তো একটু বেশি । তবে আগের থেকে এখন গাছ কমতে শুরু করেছে সাতক্ষীরা জেলাতে। আগের মত গাছিও নেই বললেই চলে সাতক্ষীরায়। তবে এখন যারা গাছি হিসেবে রয়েছে তাদের দিয়েই চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে। মজাদার এবং সুস্বাদু প্রকৃতির নির্ভেজাল গুড় সংগ্রহ করতে অনেক খাটুনিও খাটতে হয় তাদের। হাড় কাঁপানো শীতে ফজরের আজানের কিছুটা পরেই গাছিরা ছুটছে সাত-সকালে রসে সংগ্রহের কাজে। সকাল সকাল রসের হাড়ি গুলো সংগ্রহ করে নিয়ে এসে রস ঢালা হয় একটি পাত্রে। গ্রামের ভাষায় সেটাকে বলে রস জ্বালানো টিন । তারপরে সেই রস সেই জ্বালিয়ে তৈরি করা হয় গুড়। জ্বালাতেও হয় আনেক সময়।জ্বালানী গুড় ঠাণ্ডা করে রাখা হয় ভাড়ে। রস রাখার পাত্রটিকে ভাড় বলে গ্রামের ভাষায়।গ্রামে গুড় ভাড় হিসেবেই বিক্রি হয়। প্রতিভার দাম নিয়েছে ১০০০-১২০০টাক পর্যন্ত। বিক্রয় করা হচ্ছে গ্রামের হাট বাজার গুলাতে।গ্রামের চাহিদা মিটিয়ে শহরেও রপ্তানি হচ্ছে এই সকল গুড়। তবে সাতক্ষীরা জেলা তে সবথেকে গুড়ের চাহিদা রয়েছে শ্যামনগরে। শ্যামনগরের নুরনগর কালীগঞ্জের একাংশ নিয়ে এখানকার মানুষের ভাতের শেষ পতে গুড়ের আমেজ চাই চাই। সাতক্ষীরার জেলা গুড়ের চাহিদা বেশি। সাতক্ষীরার খেজুরের গুড় যেমন সাতক্ষীরার মানুষের কাছে প্রিয় সেরকম প্রিয় সারা দেশের কাছে। প্রতিবছর রস খেজুরের গুড় নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা মিডিয়াতে নিউজ আলোচনা হলেও কোন উপকারে আসে না এ অঞ্চলের গাছিদের। তবে আনন্দ-বেদনা আর উৎসবের মুখর পরিবেশে চলে তাদের এই শীতের জীবন। এসকল চাষীদের জীবনে শীতের আমেজে খেজুরের রস,আর গুড় বিক্রয় করে জীবিকার মান কিছুটা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে গাছিদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এতে করে মানসম্মত জীবন ব্যবস্থায় কাজে আসে এই টাকাগুলো এজন্যই হার খাটুনি মাঝে এই হাড়কাঁপা শীতে সাত সকাল থেকে চলতে থাকে গুড়ের তৈরির আমেজ।