এ টি এম মাহফুজঃ
কলারোয়া উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ফুটবল মাঠের ঠিক দক্ষিণ পশ্চিম কর্ণারে স্থাপিত কলারোয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ “স্বাধীনতা”।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী মোঃ আব্দুল জলিল ২০০১ সালের ৬ জুলাই এর শুভ উদ্বোধন করেন(বর্তমানে তিনি প্রয়াত)।
জাতীয় দিবস গুলোতে এই স্মৃতিস্তম্ভ আলোকসজ্জায় সেজে ওঠে।কিন্তু বছরের বাকি দিনগুলোতে থাকে না কোনো পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ। ইদানীং এর ঠিক উত্তর পার্শ্বে (পাইলট হাইস্কুল মার্কেটের দেয়াল সংলগ্ন) এবং ফুটবল মাঠের দক্ষিণ পার্শ্বের ফটকের পার্শ্ব স্থানে দিন-রাত সবসময় যেকেউ প্রস্রাব করছেন।
এছাড়া উক্ত স্থানে ময়লা ও প্রস্রাব করার বিষয়টাকে একরকম বৈধ করে নিয়েছেন কিছু মানুষ। উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় স্তম্ভ স্বাধীনতা এর সামনে ও পাশেই এমন কর্মকাণ্ডে একাধিক সচেতন নাগরিক মর্মাহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,বেশকিছু দিন লক্ষ্য করছি এখানে যেকোনো সময় যেকেউ এসে প্রস্রাব করে চলে যাচ্ছে।এটা একদিক থেকে নৈতিক অবক্ষয়ের কারণ হচ্ছে এবং অপরদিক থেকে স্মৃতিস্তম্ভের প্রতি সম্মানের হানি ঘটছে।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, কলারোয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও “স্বাধীনতা” স্তম্ভ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্তম্ভ। এর পাশে ময়লা-আবর্জনা ও মূত্রত্যাগের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এ ব্যাপারে আমি কয়েকবার প্রশাসন-আইনশৃঙ্খলা কমিটিকে অবহিত করে বন্ধের দাবি করেছি।দাবির প্রেক্ষিতে সেসব সাময়িকভাবে বন্ধ করলেও কিছুদিন পর একই অবস্থা হয়ে যায়।এরফলে দেখা যায় পবিত্র স্থানটি ও বীর শহীদদের অবমূল্যায়ন করা হয়।
বিশেষ দিনগুলো ব্যতীত অন্যদিনগুলোতে এই পবিত্র স্থানটিকে রক্ষণাবেক্ষণের প্রশ্নে তিনি বলেন, শুধুমাত্র জাতীয় দিবস গুলোতে পৌরসভা ও প্রশাসন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে। তবে এ দায়িত্ব মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলের দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।
এ সময় তিনি দৈনিক নতুন সূর্য’র মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এই পবিত্র স্থানটিকে নান্দনিক ও সংরক্ষণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।