শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পুলিশের দেওয়া জমি ও গৃহ পাচ্ছেন ৯ অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবার
পুলিশের দেওয়া জমি ও গৃহ পাচ্ছেন ৯ অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবার

পুলিশের দেওয়া জমি ও গৃহ পাচ্ছেন ৯ অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবার

নতুন সূর্য ডেস্কঃ

খুলনা জেলার ৯টি উপজেলা থেকে মোট নয়জন হতদরিদ্র এবং অসহায়কে জমিসহ গৃহনির্মাণ করে দিচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। সর্বনিম্ন দেড় শতক থেকে ১ কাঠা পর্যন্ত জমি অসহায় পরিবারের নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। এসব জমিগুলো দানসূত্রে এবং ক্রয় করে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি অসহায় পরিবারের জন্য জমির ওপর একটি করে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ঘরের সরঞ্জাম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। খুব দ্রুতই অসহায় পরিবারগুলোর মধ্যে জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হবে। 


এদিকে গত ৩ মার্চ পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে ডিআইজি পদমর্যাদার তিনজন এবং অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার ২ জনের একটি টিম খুলনায় জমি এবং গৃহনির্মাণের কার্যক্রম পরিদর্শন করে গেছেন। টিমটি খুলনার ফুলতলা ও রূপসা উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে। এছাড়া গৃহনির্মাণের সরঞ্জামের মানগুলো কেমন হচ্ছে তাও পরিদর্শন করেন।

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সূত্র জানায়, উপজেলা পর্যায়ের নয়টি থানা যথাক্রমে দিঘলিয়া, বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, রূপসা, ফুলতলা, দাকোপ, তেরখাদা ও কয়রার মোট ৯ জনকে জমি ও গৃহনির্মাণ করে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে জমি অসহায়দের নামে রেজিস্ট্রিও করা হয়েছে। নয়জনের মধ্যে ৮ জনই ভিক্ষুক এবং ১জন অসহায় গৃহিনী। প্রত্যেক উপজেলা থেকে ৫টি করে মোট ৪৫ জন অসহায় মানুষদের মধ্যে থেকে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের টিম ৯ জনকে জমি ও গৃহনির্মাণ করে দেওয়ার চূড়ান্ত তালিকা দিয়েছে। 
এদের মধ্যে দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নে ২ শতক জমিতে গৃহনির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে পারুল বিবিকে, বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নে আড়াই শতক জমিতে দেওয়া হচ্ছে রূপসী রায়কে, পাইকগাছা উপজেলার শোলাদানা ইউনিয়নে ২ শতক জমিতে মর্জিনা বেগমকে, ডুমুরিয়া উপজেলার ১১নং ডুমুরিয়া সদরে দুই শতক জমিতে আছিয়া বেগমকে, রূপসা উপজেলার ২নং শ্রীফলতলা ইউনিয়নে ১ দশমিক ৬৫ শতকে জায়েদা বেগমকে, ফুলতলা উপজেলার জামিরা ইউনিয়নে ২ শতক জমিতে সেকেল মোল­াকে, দাকোপ উপজেলায় ১ দশমিক ৬৫ শতক জমিতে ভোজী বেগমকে, তেরখাদা উপজেলায় আনন্দনগর এলাকায় ২ শতক জমিতে আয়তন বেগমকে এবং কয়রা উপজেলায় ১ কাঠা জমিতে সুফিয়া বেগমকে জমি ও গৃহ দেওয়া হবে। দাকোপের ভোজী বেগম একজন অসহায় গৃহিনী। এছাড়া ৮ জনই পেশায় ভিক্ষুক এবং অতিদরিদ্র।

 
এ বিষয়ে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, প্রত্যেক থানা থেকে ৫ জনের তালিকা করে হেড কোয়ার্টারে পাঠানো হয়। সেখান থেকেই জেলার ৯টি থানার জন্য ভিক্ষুকসহ হতদরিদ্র ৯ জনকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। দেশের মধ্যে সম্ভবত খুলনায় ৯ জনের জন্য জমি ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রি করে হেডকোয়ার্টারে জানানো হয়েছে। এ সকল জমি ও গৃহনির্মাণের ব্যয় সব পুলিশের। খুলনার ৯টির মত সারাদেশের ৫৩৪টি থানায় হতদরিদ্র পরিবারের জন্য গৃহনির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। অসহায় ও হতদরিদ্রের মধ্যে জমি ও গৃহনির্মাণ করে হস্তান্তর করার পরও সেটির সার্বিক তত্ত্বাবাধায়ন করবে পুলিশ।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।