শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কলারোয়ার দর্জি কারিগররা ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে
কলারোয়ার দর্জি কারিগররা ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে

কলারোয়ার দর্জি কারিগররা ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে

মোস্তফা হোসেন বাবলু:
সারাদেশে যখন মহামারী করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে জন্য লকডাউন চলছে,ঠিক সেই সময় এ বছর পবিত্র মাহে রমজানুল মোবারক মাসের শুরু,এবং দুই সপ্তাহ ব্যাপি পুরো লকডাউন। পুরো১৪দিন পর দোকান পাট শফিং মহল খুলে দেওয়ায় এবার আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসদরের বাজারের দর্জি দোকানগুলোতে পুরোদমে চলছে পোষাক তৈরির কাজ। সেই সাথে দর্জিপট্ট্রিতে রয়েছে নতুন পোষাক তৈরির হিড়িক। মেঝেতে কাপড়ের স্তুপ। ডান-বায়ের দেয়ালেও ঝুলছে নানা রঙ ও নকশার বানানো পোশাক।

সেলাই মেশিনের একটানা খটখট আওয়াজ চলছে। এর মধ্যেই নেওয়া হচ্ছে নতুন পোশাকের অর্ডার। একই সঙ্গে চলছে মাপ অনুয়ায়ী কাপড় কাটার কাজও। উপজেলার পৌরসদরের বাজার এর বেশ কয়েকটি দর্জির দোকানে ঘুরে এমন ব্যস্ততা ও ক্রেতাদের ভীড় দেখা গেছে। কিছু দর্জি বলছে আমরা আজ থেকে পোষাক তৈরির অর্ডার আর নিচ্ছি না। কারণ এত অল্প সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের কথামত পোশাক দিতে পারব না । কারিগড়রা আর কত পোষাক তৈরি করবে।

ক্রেতারা জানান, রমজানের ১৮ দিন পেরিয়ে গেলো। আর ১২ দিন পরেই ঈদুল ফিতর। হাতে আর তেমন সময় নেই। যারা তৈরি পোশাক (রেডিমেড) পরতে পছন্দ করেন না বা নিজের পছন্দমতো মাপে ও ডিজাইনে পড়তে অভ্যস্ত, তারা এখন ভিড় করছেন দর্জি দোকানগুলোতে।
দর্জি দোকানিরা জানালেন, এখন ব্যস্ততাটা একটু বেশিই। সেটা মুল কারন করোনা ভাইরাস, আমরা প্রতিবছর রমজান মাস শুরুতে কাজ শুরু করি। পূর্বে ঈদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করতে হতো, আর এখন সকাল থেকে গভীর রাত অবধি কাজ করতে হচ্ছে।কারণ, ঈদের মৌসুমে বাড়তি কাজের অর্ডার হয়। এতে বাড়তি আয়ও করা যায়।
কলারোয়া বাজারের চৌরাস্ত মোড়ের দর্জিপট্টি নুর টের্লাসের প্রো: রিপন বাবু জানান আধুনিক ডিজাইনের রুচিসম্মত পোশাক তৈরিকরি, প্রায় ২০ বছর হতে নির্ভরযোগ্য আমাদের প্রতিষ্ঠান। মহিলাদের পোষাক তৈরিতে সবচেয়ে বেশি ভীড় দেখা যায় বাজারের মেইন রোডে স্টাইল টেইর্লাসে। এছাড়াও ইউনিক টেইলাসে পাঞ্জাবী, স্টুডেন্ট টেইলার্স, মিলন টেইলার্স, আশা টেইলার্স এ ক্রেতাদের ভীড় দেখা যায়।আমরা দেশী শার্ট,প্যান্ট ,পাঞ্জাবী ও বোরকা, স্যুট করি। এবারের ঈদে প্রতিটি প্যান্টের জন্য ৪০০ টাকা, শার্টে ৩০০ টাকা, পাঞ্জাবিতে ৪০০ থেকে ৩০০ টাকা পযন্ত মজুরি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান স্থানীয় দর্জিরা॥

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।