নতুন সূর্য ডেস্কঃ
বরগুনার বেতাগীতে রাতের আঁধারে ক্ষমতার জেরে ফসলে পরিপূর্ণ জমির মাটি কেটে খালে পরিণত করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার বিরুদ্ধে।
উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের আনর জলিশা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। প্রায় ৪ একর জমিতে দুর্বৃত্তরা মাটি খনন করে দখল করে নিয়েছে।
ভুক্তভোগী ও এলাকাসূত্রে জানা যায়, একই এলাকার বাসিন্দা মৃত মোস্তফা ফকিরের ছেলে মো. মফিজুলের সঙ্গে ওই এলাকার বাসিন্দা খলিল মাতুব্বর, জলিল ,রুহুল,ফারুখ সরদারের সয়্গে পুরনো শত্রুতা ছিল। সেই জেরে গত বুধবার ও রোববার গভীর রাতে প্রায় ৪০জন লোক নিয়ে ফসলে ভরা জমির মাটি কেটে খালে পরিণত করে অবৈধভাবে দখল করে নেয় দুর্বৃত্তরা। এই সময়টিতে ভুক্তভোগীদের কেউ বাড়িতে ছিলেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মজিবুর রহমান বলেন, আমাদের ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি ওই জমি মফিজুলের বাবা ভোগদখল করে আসছে। হঠাৎ তার ও তার স্ত্রীর মৃত্যুর পরপরই এলাকার কিছু ভুমিদুস্য ক্ষমতার জোরে জমিগুলো দখল করে নিচ্ছে। তাদেরকে ডেকে জিজ্ঞেস করার মতো কেউ নেই।
ভুক্তভোগী মফিজুল বলেন, হোসনাবাদ মৌজায় এসএ ২২০/২২১ নং খতিয়ানের ৪৬৪১/৪৬৭০-৭২,৮০,৮৪,৮৭,৯০,৯২,৯৩,৯৮ সহ বেশ কয়েকটি দাগে আমার ভোগদখলীয় সম্পত্তি। আমার মায়ের মৃত্যুর পর আমরা ছাাড় ওই জমির অন্য কোনো ওয়ারিশ নাই। কিন্তু এলাকার ওই লোকজন আমার জমি রাতের আধারে দখল করেছেন। এছাড়াও এই জমি নিয়ে ২০০৪ সালে দেওয়ানি মামলা হয় যার রায় আমাদের পক্ষে এসেছে।
মফিজুল আরো বলেন, থানায় অভিযোগ দেইনি কারণ পুলিশ আসলে তারা ম্যানেজ করে ফেলে। অফিস আদালত খুললে কোর্টে মামলা করব।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন মন্টু বলেন, রাতের আধারেই জমি দখল করে ফসল নষ্ট করেছে এবং খাল বানিয়েছে কথাটি সত্য আমি প্রমাণ পেয়েছি । তবে তারা সালিসি ব্যবস্থা না মানায় এখনো কোন সমাধান দতে পারিনি।
অভিযুক্তদের অন্যতম খলিল মাতুব্বর বলেন, এই জমিটি ওয়াকফ স্টেটের জমি এবং আমি নিজেই এই জমির মালিক। আমি আইন কানুন মানি না। এখন জমি কেটে খাল বানাইছি পরে নদী বানাব। কার বাবার কী?