শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
ঈদকে সামনে রেখে কলারোয়া থানা পুলিশের কর্মকান্ডে জনমনে স্বস্তি
ঈদকে সামনে রেখে কলারোয়া থানা পুলিশের কর্মকান্ডে জনমনে স্বস্তি

ঈদকে সামনে রেখে কলারোয়া থানা পুলিশের কর্মকান্ডে জনমনে স্বস্তি

জাকির হোসেন :

সীমান্তের জনপদ সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন কলারোয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আলহাজ¦ মীর খাইরুল কবির। তিনি যোগদানের পর কমে গেছে মাদকের ভয়বহতা, খুন-খারাপি, অপহরণ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ চাঁদাবাজির ঘটনা। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বস্তিবোধ করছেন উপজেলার সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। তার এ সফলতাকে সাধুবাদ জানিয়েছে সর্বস্তরের জনসাধারণ। তবে পুলিশের এই প্রশংসনীয় ভূমিকা মানতে পারছেন না কতিপয় স্বার্থাম্বেষী মহল।
সরেজমিনে ঘুরে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে হঠাৎ করেই পাল্টে গেছে কলারোয়ার অপরাধ প্রবণতা। পাল্টে গেছে এ উপজেলার দৃশ্যপট। গা ঢাকা দিয়েছে অনেক অপরাধী। অপরাধীদের কেউ কেউ পেশা পাল্টে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে শুরু করেছে। পুলিশের কৌশলী ভূমিকার কারণেই ভেঙ্গে পড়েছে অপরাধীচক্রের নেটওয়ার্ক। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে কলারোয়া থানা পুলিশের। বিশেষ করে থানার ওসি মীর খাইরুল কবির যোগদানের পর অপরাধ দমনে তার আন্তরিকতার প্রমাণ মিলেছে। কলারোয়া পৌরসভার মেয়র মাষ্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, কলারোয়া থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ যোগদানের মাত্র ৬ থেকে ৭ মাসেই বদলিয়ে দিয়েছেন উপজেলার চিত্র। উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে বিট পুলিশীং তৎপরতা জোরদার থাকায় অতীতের তুলনায় অপরাধ কর্মকান্ডের সংখ্যা এখন অনেক কম। ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, এক সময় যেখানে নেশা খোররা লোকালয়ে প্রবেশ করে গ্রামের নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে চাঁদা আদায় সহ সর্বস্ব লুটে নিত। বর্তমানে আইন শৃংখলা ভাল হওয়ায় সে দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। গত কয়েক মাসে পুলিশের অভিযানের মুখে ভয়ংকর দাগী অপরাধীরা এলাকা ছাড়া হওয়ায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি দেখা দিয়েছে।
উপজেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আইনজীবি এ্যাাডঃ কাজী আবদুল্লাহ-আল-হাবিব বলেন কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খাইরুল কবির কয়েক মাস দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে চোর, ডাকাত, মাদক, জঙ্গী, ইভটিজিং, চাঁদাবাজ, নাশকতা সৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে যে ধরনের ভুমিকা নিয়ে কাজ করেছে তা অব্যশই প্রশাংসানীয়। এ ছাড়াও পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চোর, ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সেবনকারী , ইভটিজিং, পাচারকারী, নাশকতা সৃষ্টিকারীদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করছে প্রতিনিয়ত। উপজেলা সুজনের সংগঠনিক সম্পাদক মাষ্টার শেখ শাহাজাহান আলী শাহিন বলেন,থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ এর যুগান্তকারীর পদক্ষেপের জন্য বর্তমান বোরো মৌসুমে জমি জায়গা ধান কাটাকাটি নিয়ে কোন মামলা হয়নি এবং থানায় মামলার জট কমে গেছে, তাছাড়া তিনি তদন্ত ছাড়া কোন মামলা রেকর্ড করেন না। থানা পুলিশের নিয়মিত টহলদলের সাথে ২টি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা প্রত্যন্ত গ্রামগুলোয় সার্বক্ষনিক টহল জোরদার করায় মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব উল্লেখযোগ্য ভাবে নেই বললে চলে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতির এই উন্নতি হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে। তিনি যোগদানের পর থেকে থানায় দালালদের দৌরাত্ম নেই । নিয়মিত মামলার আসামী গ্রেফতার রয়েছে অতীতের তুলনায় অনেক বেশি। ওয়ারেন্ট তামিল করা হয়েছে রের্কড পরিমান। এমন সাহসী পদক্ষেপ গ্রহন করায় ওসি মীর খাইরুল কবিরকে উপজেলার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ মীর খাইরুল কবির বলেন, জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আজীবন কাজ করে যাব। কলারোয়া থানাকে সব ধরণের অপরাধমুক্ত ও একটি আদর্শ থানা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি সার্বিক আইন শৃংখলা ভাল রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।