স্টাফ রিপোর্টারঃ
এক বছর ধরে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক অতঃপর বিয়ে৷ এখন ৪ বছরের সাংসারিক জীবনে তিন বছর বয়সী তাবিয়া নামের ছোট্ট এক কন্যা সন্তান রয়েছে৷ কিন্তু সুখের সংসারের আড়ালে নারীর অন্য পুরুষের সাথে পরকীয়ায় ঘর ভাঙলো ট্রাকের হেল্পার জহিরুল ইসলামের৷ প্রতিদিনের মত সে সন্ধায় ট্রাকে কাজের উদ্দেশ্য গেলেও কাজ না হওয়াতে মধ্যরাত ১ টার দিকে বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে যুবকসহ হাতে নাতে ধরেন বলে জানিয়েছেন ঐ নারীর স্বামী ট্রাক হেল্পার জহিরুল ইসলাম৷ পরে থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঐ নারী ও কামাল হোসেন (২৫) নামের এক যুবককে আটক করে ৷
বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) ভোর রাতে উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেন থানা অফিসার ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মীর খায়রুল কবীর৷
তিনি বলেন, মধ্য রাতে নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় জনগনের হাতে আটক হওয়া ঐ যুবক কামাল হোসেন (২৫) উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাদিয়ালী গ্রামের আলাউদ্দিন সরদারের ছেলে৷ ও নারী সোনিয়া খাতুন (২২) রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত বাদল সরদারের ছেলে জহিরুল ইসলামের স্ত্রী ৷
নারী ও যুবককে পরকিয়া সম্পর্কে আপত্তিকর অবস্থায় জনগন আটক করলে সংবাদ পেয়ে পুলিশ উদ্ধার তাদের করে ৷ পরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে ২৯০ ধারা মামলা আইনে আটককৃতদের সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে ৷
পরকীয়ায় জড়িত নারীর স্বামী জহিরুল ইসলাম বলেন, সম্পর্ক করে ৪ বছর বিয়ে হয়েছে সংসারে তিন বছর বয়সী ছোট্ট এক কন্যা সন্তান আছে ৷ মেয়ে হওয়ার পর থেকে স্ত্রীর আচারন কেমন উদভ্রান্ত লাগতো বাচ্চা ও পরিবারকে সহ্য করতে পারেনা বাচ্চাকে কয়েকবার হত্যা চেষ্টা করে পরিবারের লোকজনের কারনে পারিনি ৷ কাজের জন্য বাইরে যেতে হয় এ সুযোগে স্ত্রী ঐ যুবকের সাথে কথা বলে গোপনে বাড়িতে এনে রাত্রি যাপন করে বলে স্ত্রী ও যুবক স্বীকার করেছে এমনকি তাদের এগার বছর যাবৎ সম্পর্ক ৷
আমার সাথে সম্পর্কের কথা গোপন করে অর্থের লোভে বিয়ে করে আমাকে এখন নিঃস্ব করে ফেলেছে সাম্প্রতি স্ত্রী মরিয়া হয়ে উঠে মেয়ে ও আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল৷ হেল্পারি করে যা রোজগার করতাম স্ত্রী সোনিয়া গোপনে ঐ যুবককে দিত ৷ স্ত্রী ও সংসার ভাঙ্গার মূল ব্যাক্তি আটক হওয়া যুবক কামাল হোসেনের হুমকি থেকে পরীবারকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের নিকট সহযোগিতা কামনা করেন তিনি৷
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোখলেছুর রহমান জানান, জহিরুল ইসলামের স্ত্রী পরিবারে অশান্তি করতো এ নিয়ে কয়েকবার শালিস বিচার হয়েছে৷ কিন্তু পরকিয়া ছিল অন্যতম কারন সেটা এখন প্রকাশ পেয়েছে৷ তবে এ ধরনের কাজ ও একটা পবিত্র সংসার ভাঙ্গার জন্য আপত্তিকর অবস্থায় আটককৃত যুবক ও স্ত্রী সোনিয়ার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন যাতে এ ধরনের কাজ আর কোন ব্যাক্তি না করতে পারে
