বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
জীবন বাজি রেখে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সমাজসেবা অফিসার নূরে আলম নাহিদ
জীবন বাজি রেখে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সমাজসেবা অফিসার নূরে আলম নাহিদ

জীবন বাজি রেখে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সমাজসেবা অফিসার নূরে আলম নাহিদ

স্টাফ রিপোর্টার:

করোনা কালিন সময়ে নিজেদের জীবণকে বাজি রেখে অসহায় মানুষ যাতে সঠিকভাবে টাকা পায় তার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার নূরে আলম নাহিদ। আর এই কাজ করতে গিয়ে কতো কথা। সঠিক ভাবে কাজ করলেও মানুষের মন জয় করা সম্ভব হয়না। এই অসহায় ভাতা ভোগীদের কাজ করতে গিয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের নৈশ প্রহরি মেহনতি মানুষের সেবায় নিয়োজিত থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে ফুসফুসের একটি অংশ অকেজো হয়ে জীবন মরণের সন্ধিক্ষণে। তার পরেও আজ কিছু মানুষ না বুঝে না জেনে সমাজসেবা অফিসের দিকে আঙ্গুল তুলছে। সামাধান করার কোন লোক নেই। শুধু কাজে বাধাদানের লোক রয়েছে।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নূরে আলম নাহিদ সাংবাদিদের বলেন, ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তারা মোবাইল নাম্বার তালিকাভূক্ত করার সময় ভুল লেখার কারণে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এখানে টাকা যাওয়া আর না যাওয়ার বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের কোন হাত নেই। উপজেলা সমাজসেবা অফিস শুধু মাত্র ভাতা ভোগীদের নাম ঠিকানা ও মোবাইল নং যাচাই করে দপ্তরে পাঠান। সে অনুযায়ী ভাতা ভোগীদের মোবাইল ফোনে নগদ এজেন্ট থেকে টাকা পাঠানো হয়। তার পরেও উপজেলা সমাজসেবা অফিস ভাতা ভোগীদের টাকা উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু ব্যক্তি না বুঝে না জেনে উপজেলা সমাজসেবা অফিসকে জড়িয়ে হয়রানী মুলক তথ্য সাংবাদিক ভাইদেরকে দিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন-করোনা কালিন সময়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী দিন রাত কাজ করে অসহায় ভাতা ভোগীদের নামের তালিকা প্রস্তুত করেছে। আর এখন তাদেরই দূর্নাম হচ্ছে। টাকা দেয়ার যদি উপজেলা সমাজসেবা অফিসের হাতে দায়িত্ব থাকতো তাহলে ভাতা ভোগীরা অভিযোগ করতে পারতেন। এখন তো টাকা দিচ্ছে নগদ এজেন্ট। তার পরেও উপজেলা সমাজসেবা অফিস যে ভাতা ভোগী টাকা পায়নি বলে অভিযোগ দিচ্ছেন তাদের টাকা উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে ও খোজ খোবর নিচ্ছেন এবং তাদের সামাধানও করছেন। “কলারোয়ায় ৩ শতাধিক ভাতাভোগির টাকা পায়নি” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটির বাখ্য দিলেন তিনি- যারা টাকা পায়নি বলে সংবাদ পত্রে লেখা হয়েছে তারা সকলে টাকা পেয়েছেন। এর মধ্যে- ফিরোজা খাতুনের টাকা সঠিক নাম্বারে প্রেরণ করা হয়েছে, নগদের পিন ভূলে যাওয়া কিংবা প্রযুক্তিগত কোন কারনে টাকা উত্তলন, অথবা সে জানেই না তার টাকা একাউন্টে জমা হয়েছে। হাসিনা খাতুনের টাকা তার সঠিক নাম্বারেই ১৮জুন প্রেরনের জন্য পে-রোল প্রদান করা হয়েছে, আশা করি খুব শীঘ্র তিনি টাকা পেয়ে যাবেন। প্রতিবন্ধী বিউটি, এমআইএস করার সময় স্থানীয় গ্রাম পুলিশের নাম্বার দিয়েছিল, মেম্বার হাসান সাহেব ও আমরা সরাসরি তদারকি করে তার টাকা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে যাতে তিনি নিজে ভাতা উত্তলন করতে পারেন তার নাম্বার পরিবর্তন করে নিজের নাম্বার গ্রহন করা হয়েছে। সালেহা, তিনি ইতোমধ্যে ভাতার টাকা বুঝে পেয়েছেন। রহিমা, তাহার টাকা সঠিক নাম্বারেই প্রেরণ করা হয়েছে। আসমা খাতুন, তাহার মোবাইল নাম্বারের একটি অংশে অস্পষ্ট লেখার কারনে ২ এর জায়গায় ১ টাইপ করা হয়েছে। তারপরেও তার টাকা ফেরত এসেছে, পুনরায় তার টাকা সঠিক নাম্বারে প্রেরণ করা হবে। আশাকরি অচিরেই তিনি টাকা পেয়ে যাবেন। প্রতিবন্ধী তৌহিদের টাকা সঠিক নাম্বারেই প্রেরন করা হয়েছে। তবু কেন তিনি টাকা পাচ্ছেন না, বোধগম্য হচ্ছে না। হয়তো তিনি খোজ না নিয়ে অভিযোগ করছেন। মোবাইল নাম্বারের কোন এক সংখ্যা ভূল টাইপ হলে বাংলাদেশের যেকোন প্রান্তেই যাওয়াটা স্বাভাবিক। সমাজসেবা দপ্তরে সমাধান পাচ্ছে না, কথাটা মনে খুব আঘাত করেছে। আমাদের নৈশ প্রহরি মেহনতি মানুষের সেবায় নিয়োজিত থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে ফুসফুসের একটি অংশ অকেজো হয়ে জীবন মরণের সন্ধিক্ষণে। আমি উপজেলা সমাজসেবা অফিসার নিজে করোনার সকল উপসর্গ নিয়ে জ্বরে আক্রান্ত হলেও টেস্ট করাই নি। রোজা, ইদসহ টানা কয়েকমাস দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি, আমরা সকল স্টাফরাই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছি, জীবণকে বাজি রেখে অসহায় মানুষ যাতে সঠিকভাবে টাকা পায় তার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সমাজের দর্পন রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যমসহ কলারোয়াবাসী সকলের সহযোগীতা কামনা করি, আশা করি সবাই সঠিকভাবে টাকা পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ সকলকে।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।