বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
কলারোয়ায় যত্র তত্র অবৈধ বেকারি – স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ
কলারোয়ায় যত্র তত্র অবৈধ বেকারি – স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ

কলারোয়ায় যত্র তত্র অবৈধ বেকারি – স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

কলারোয়ার কিসমত ইলিশপুরে অবৈধ সুপার রুচিরা বেকারিতে তৈরি হচ্ছে মানহীন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্য পণ্য। বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়াই এই বেকারি অস্বাস্থ্যকর পণ্য তৈরি করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কে অবাধে বাজারজাত করছে। এসব খেয়ে অনেকেই পেটের সমস্যাসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

জানা গেছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে কলারোয়া কিসমত ইলিশপুরে বেকারিতে পণ্য তৈরি করে পাশ্ববর্তী শার্শা থানাধীন বাগআঁচড়া গুড় পট্টিতে বেকারির শোরুম করে সরকারি অনুমতি ছাড়াই সুপার রুচিরা বেকারি মানহীন পণ্য বাজারজাত করছে। আর এসব বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বিস্কুট, ভাজা, কেক, পাউরুটি, মিষ্টি, সন্দেশ। পাড়া-মহল্লার দোকান থেকে শুরু করে নামিদামি দোকানেও বিক্রি হচ্ছে এসব বেকারির বাহারি মুখরোচক খাবার।

উপজেলায় বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হলেও বেকারিতে তৈরি এসব পণ্য আওতামুক্ত থাকছে।

সুপার রুচিরা বেকারিতে গিয়ে দেখা যায়, স্যাঁতসেঁতে নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে অবাধে তৈরি করা হচ্ছে বেকারির পণ্যসামগ্রী। আশেপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে নানা ধরনের তৈরি পণ্য। শ্রমিকরা খালি পায়ে এসব পণ্যের পাশ দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছেন। এ সময় তাদের গা থেকে ঘাম ঝরতে দেখা গেছে। আটা-ময়দা প্রক্রিয়াজাত কড়াইগুলোও অপরিষ্কার ও নোংরা। ডালডা দিয়ে তৈরি করা ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি ভন ভন করছে।

উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ ছাড়াই বাহারি মোড়কে বনরুটি, পাউরুটি, কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন ধরনের বেকারি সামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে। উপজেলার শেষ প্রান্তে কিসমত ইলিশপুরে এই বেকারির অবস্থান হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নজরদারি নেই বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভেজাল কেমিক্যাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা এসব খাবার সামগ্রী খেলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে। পেট ব্যথা, শরীর দুর্বলসহ জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি রয়েছে। অবৈধ বেকারির এক কর্মচারী জানান, দিনের বেলায় তারা কোনো পণ্য উৎপাদন করেন না। রাতে শুরু করে ফজরের আগেই পণ্য উৎপাদন শেষ হয়ে যায়। রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশের ঝামেলা কম বলেই পণ্য উৎপাদন রাতেই শেষ করে থাকে।

উপজেলার সিংগা বাজারের এক চা দোকানি করিম উদ্দিন জানান, তারা গরিব মানুষ, ফুটপাতে চা পান বিক্রি করে সংসার চালান। উৎপাদনের তারিখ দেখার সময় নেই। ক্রেতারা তো আর এসব জিজ্ঞাসা করেন না। প্যাকেট থেকে কোনোমতে খুলে চা বা কলা দিয়ে খেতে ওসব বেকারি সামগ্রী কিনে নিচ্ছেন।

এবিষয়ে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান, সুপার রুচিরা বেকারির যদি বিএসটিআই অনুমোদন না থাকে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভেজাল খাদ্য সরবরাহ ও প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।