নতুন সূর্য ডেস্ক:
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, মহানগরীর নদী তীরবর্তী এলাকায় উঁচু ও টেকসই বাঁধ নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। একই সাথে জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে নগর সংলগ্ন নদীসমূহ খনন করাও জরুরি হয়ে পড়েছে।
পরিবেশসম্মত একটি সুন্দর নগরী গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, নগরীর ড্রেন উন্নয়ন এবং সড়কগুলি সংস্কার ও প্রশস্ত করা হচ্ছে। সেই সাথে আরো কিছু নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নেরও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি নগর উন্নয়নের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
সিটি মেয়র গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে জাইকা প্রতিনিধি দলের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। এতদাঞ্চলে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকল্পে জাইকার সহযোগিতায় কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষে কেসিসি এ সভার আয়োজন করে।
উলেখ্য, জাইকা সদর দপ্তরের একটি প্রতিনিধি দল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকল্পে খুলনাঞ্চলে জরীপ কাজ পরিচালনা করছে। জরীপের আওতায় প্রতিনিধি দলটি ফিল্ড ভিজিট এবং সমীক্ষা সম্পর্কিত আলোচনা করবে।
জরিপের মূল উদ্দেশ্যগুলি হলো (১) দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ, দুর্যোগের ঝুঁকিগুলি মূল্যায়ন এবং সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা, (২) দুর্যোগ ঝুঁকি বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এ সেক্টরে জাইকার সহযোগিতা নীতি প্রণয়ন এবং (৩) বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যমান পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্বল্পমেয়াদে নতুন প্রকল্পের ধারণা বাস্তবায়ন করা।
জরিপের প্রধান ফলাফলগুলির মধ্যে রয়েছে (১) ভবিষ্যতে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দেয়া (২) সহযোগিতা সম্পর্কিত নীতি প্রস্তুত করা এবং (৩) পরবর্তী ৩/৪ বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করার জন্য নির্দিষ্ট প্রকল্প প্রস্তুত করা। সভায় জাইকার পক্ষ থেকে উলেখিত বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বিভাগগুলির সাথে সমন্বয় করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
সভায় জাইকা মিশনের কর্মকর্তাদের নিকট দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকল্পে নদী তীরবর্তী এলাকায় উঁচু বাঁধ নির্মাণ, নদ-নদীগুলির নাব্যতা বৃদ্ধি, জলবায়ু উদ্বাস্তদের আবাসিক সংকট নিরসনে বহুতল ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয়ে করণীয় বিষয়ে কেসিসি’র পক্ষ থেকে প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব করা হলে জাইকার পক্ষ থেকে সম্ভব সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়।
জাইকা মিশনের সাউথ এশিয়া ডিভিশন-৪ এর ডেপুটি ডাইরেক্টর মিস সিকো ইয়ামাবি ও মিস ইউকিকা হাশিমোটো, রিপ্রেজেন্টেটিভ দাইসুকে ইটো, সেক্টর কোঅর্ডিনেটর এডভাইজার নাওকি মাতসুমুরা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ আনিসুজ্জামান চৌধুরি, কেসিসি’র প্যানেল মেয়র মোঃ আলী আকবর টিপু, কাউন্সিলর ফকির মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী মোঃ এজাজ মোর্শেদ চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল আজিজ, নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ পেরু গোপাল বিশ্বাস, আর্কিটেক্ট রেজবিনা খানম, এ্যাওসেড-এর প্রধান নির্বাহী শামীম আরেফিন প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।