উপজেলা প্রতিনিধি,বিরামপুর,দিনাজপুরঃ
দিনাজপুরের বিরামপুরে ভাড়াটিয়া রেশমা বেগমের দেওয়া ঘুমের ঔষধ মেশানো দই ও মিষ্টি খেয়ে ওই বাড়ির চারজন সদস্য অচেতন হয়ে পড়েছেন। দই মিষ্টি না খাওয়া বাড়ির মালিক সুরাইয়া বেগমের বড় মেয়ে সুমি বেগমের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। রোববার সকালে পৌর শহরের ঢাকামোড় (সিইডি স্কুলে পাশে) সাবেক পুলিশ সদস্য মৃত. হারুনুর রশিদের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
বাড়ির মালিক সুরাইয়া বেগমের বড় মেয়ে সুমি বেগম জানায়, দুইদিন আগে তাদের বাড়ির দুইটি রুম ভাড়া নেন ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারের কাশিপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে রেশমা বেগম (২৭)। রোববার সকাল ১১টার দিকে বাড়িতে দই ও মিষ্টি নিয়ে আসেন রেশমা বেগম। ওই দই মিষ্টি বাড়ির চারজন সদস্যকে কৌশলে খাওয়ালে সঙ্গে সঙ্গে মো. সাব্বির আহমেদ সিয়াম (১৬), মোহাম্মদ সিফাত (৯), মোছাঃ আখি বেগম (২৫) ও মোছাঃ নুসরাত জাহান (৩৫) অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি মৃত. হারুনুর রশিদের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম ঘটনাটি টের পেয়ে ৯৯৯ ফোন করলে থানা পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে রেশমা বেগমকে আটক করে।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক বলেন, দই-মিষ্টির সঙ্গে নেশা জাতীয় কিছু মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছে।
বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।