খুলনা থেকে ফিরে শেখ খায়রুল ইসলাম:
দুই দশক পর খুলনা জেলা ও মহানগর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ২৪ জানুয়ারী। সম্মেলন ঘিরে সড়ক ও মহাসড়ক জুড়ে এখন তোরণের সমারহ। পদপ্রত্যাশী নেতাদের রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন বিলবোর্ডে সেজেছে খুলনা নগরী।খুলনার প্রধান প্রধান সড়ক ছাপিয়ে অলিগলিতেও শোভা পাচ্ছে শেখ পরিবার ও শীর্ষ নেতাদের শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানিয়ে প্রচার প্রচারণার পোস্টার ব্যানার প্যানাফ্ল্যাক্স বিলবোর্ড।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব দলীয় নেতাকর্মীগণ।
নগরীর শিববাড়ি পাবলিক হল চত্বরে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে বহুল কাঙ্খিত খুলনা জেলা ও মহানগর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সে লক্ষ্যে তৈরী করা হচ্ছে সম্মেলন মঞ্চ। যুবলীগের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।দুই দশক পর সম্মেলন ঘিরে ক্ষমতাসীন দলের যুব সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ।
মহানগর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মোটামুটি নিশ্চিত থাকলেও জেলা কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে চলছে ঠাণ্ডা লড়াই।শেখ পরিবার ও শীর্ষ নেতাদের আশীর্বাদ পেতে সব চেষ্টাই অব্যাহত রেখেছেন পদ প্রত্যাশীরা।খুলনা শহর ঘুরে দেখা যায়, সম্মেলনকে সামনে রেখে খুলনা শহরের প্রাণকেন্দ্র শিববাড়ি মোড়, ময়লাপোতা,ডাকবাংলা,সোনাডাঙ্গা, রুপসা ঘাট,জিরোপয়েন্ট সহ বিভিন্ন এলাকায় শেখ পরিবার ও শীর্ষ নেতাদের নামে তোরণ আলোক সজ্জায় সজ্জিত বাহারি রঙ্গের পোস্টার ব্যানার প্যানাফ্লেক্স বিলবোর্ডে যেন নতুন রুপে সেজেছে গোটা এলাকা।
দলীয় একাধিক সূত্র জানা যায়,গত বছরের ২২ জানুয়ারি সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হয়েছিল।কিন্তু করোনা মহামারির কারণে স্থগিত হয়ে যায়।সে সময়ে নেতৃত্বপ্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্তও নেওয়া হয়েছিল।ওই সময় মহানগর কমিটিতে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে একক প্রার্থী হলেও জেলায় সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য আবেদন করেছিলেন ১৭ জন।নগর সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে একক প্রার্থী যথাক্রমে বর্তমান আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশ ও বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন।ফলে নগরের নেতৃত্ব অনেকটা নিশ্চিত হলেও জেলায় চমকের সম্ভাবনা রয়েছে।