যবিপ্রবি প্রতিনিধি:
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(যবিপ্রবি) সিনিয়র শিক্ষার্থীর থাপ্পড়ে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার বিচার চেয়ে এবার থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থী সুমন।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জের নিকট ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে অভিযুক্ত আকিব ইবনে সাঈদকে বিবাদী করে লিখিত অভিযোগ দেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সুমন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাইমেট এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট (সিডিএম) বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। অপরদিকে অভিযুক্ত আকিব ইবনে সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আকিব ইবনে সাইদ অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (এআইএস) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র, এআইএস ক্লাবের সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এআইএস বিভাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ইং ০৬/০৩/২০২৪ তারিখে উক্ত ভার্সিটি অরণ্যক নামক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উক্ত অনুষ্ঠান একই তারিখ রাত ১২.০০ ঘটিকার সময় শেষ হয়। পরের দিন অর্থাৎ ইং ০৭/০৩/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় আমি ভার্সিটির উক্ত অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত ফেলে রাখা কিছু ককসিট ও গাছের সোলা কুড়াইয়া নিয়া ভার্সিটি হইতে বাহির হইয়া জুতিবীথি খাবারের হোটেলের সামনে পৌছাইলে উক্ত স্থান হইতে উক্ত ভার্সিটির PME ডিপার্টমেন্টের ৩য় বর্ষের ছাত্রী জারীন তাবাচ্ছুম ঐশি (২৪) আমাকে ডাক দিয়া অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত ফেলে রাখা ককসিট ও গাছের সোলা নেওয়ায় আমাকে বিভিন্ন আজেবাজে কথাবার্তা বলিয়া হুমকি দেয় এবং ঐশি বিবাদীকে মোবাইল ফোন করিয়া উক্ত স্থানে ডাকিয়া আনিলে বিবাদী আমার নিকট কোন কথাবার্তা না শুনিয়া আমার বাম কানে, মাথায় সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ীভাবে চড় থাপ্পড় মারায় আমি অজ্ঞান হইয়া মাটিতে পড়িয়া যায়। তখন উক্ত ভার্সিটির ছাত্র ১। রুদ্র, ২। মৃন্ময় ভার্সিটির এ্যাম্বুলেন্স যোগে আমাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। পরবর্তিতে আমি ইবনেসিনা হসপিটাল হতে ডা: কুতুব উদ্দিন স্যারকে দেখাইয়া কানের পরীক্ষা করানো হলে উক্ত রিপোর্টে আমার বাম কানের পর্দা ফেটে গিয়াছে মর্মে জানায় এবং ভবিষ্যতে কানের অপারেশন করতে হতে পারে বলিয়া জানাই।
উক্ত বিষয়ে আমি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে আমি অবহিত করি। আমি ভার্সিটি প্রশাসনকে অবহিত করায় বিবাদী আমাকে পুনরায় মারপিট, খুনজখমের হুমকি দিয়া আসিতেছে। বিবাদী যে কোন সময় আমাকে মারপিট, খুনজখম সহ বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিতে পারে মর্মে আশংকা করিতেছি। বর্তমানে আমি বিবাদীর ভয়ে নিরাপত্তহীনতাবোধ করিতেছি।
ঘটনার বিষয় সাক্ষী স্থানীয় বাসিন্দা ১। মো: হাফিজ উদ্দিন, ভার্সিটির ছাত্র ২। মৃন্ময়, ৩। রুদ্র, ৪। নাইম ও ভার্সিটির প্রশাসনের কর্মকর্তা সহ আশেপাশের আরো অনেকে দেখিয়াছে ও শুনিয়াছে। অতএব, আমার আবেদনের বিষয়টি তদন্ত পূর্বক বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিতে মর্জি হয়।