শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
কলারোয়ায় নামাদামি ব্র্যান্ডের মোড়কে তৈরি হচ্ছে ভেজাল আইসক্রীম,দেখার কি কেও নেই!
কলারোয়ায় নামাদামি ব্র্যান্ডের মোড়কে তৈরি হচ্ছে ভেজাল আইসক্রীম,দেখার কি কেও নেই!

কলারোয়ায় নামাদামি ব্র্যান্ডের মোড়কে তৈরি হচ্ছে ভেজাল আইসক্রীম,দেখার কি কেও নেই!

মোস্তফা হোসেন বাবলু,স্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌসুম পরিবর্তনের কারণে বেড়েছে দিনের তাপমাত্রা। গরম পড়তে না পড়তেই  কলারোয়ায় দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে অনুমোদনহীন ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রয়োগে তৈরীকৃত আইক্রীমের এবং বাজারজাতের দৌড়-ঝাপ।
সাধারণত একটি মানসম্পন্ন আইসক্রীম তৈরীতে দুধ, চিনি, ভেজিটেবল ফ্যাট, কোকোনাট অয়েল, স্ট্যাবিলইজার, ফুড কালার, ফুড ফ্লেবার ও বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তবে এর বিপরীতে  উপজেলার বাকসা এলাকায় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ইতিমধ্যেই গড়ে উঠেছে  রমরমা ব্যবসা। মৌসুম ভিত্তিক এক শ্রেনীর অসাধু আইসক্রীম বিক্রেতা বা প্রতিষ্ঠান এসব অনুমোদনহীন নিন্মমানের আইসক্রীম তৈরি করছে। তাদের উৎপাদিত আইসক্রীমে ব্যবহার করা হচ্ছে ঘনচিনি, ক্ষতিকর সাকারিন,নিন্মমানের কালার, সুইটিক্স ও ফ্লেভারসহ নানা ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক।
উৎপাদিত আইসক্রীমের তালিকায় রয়েছে কুলফি,আইসবার, চকবার, কাপ, বল, লেমন বা অরেজ্ঞ ললি, মিষ্টি দই, ক্যাটবেরিসহ হরেক রকম পণ্য। উৎপাদিত আইসক্রীম গুলো আকর্ষনীয় করতে ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন নামি দামী কোম্পানির মোড়ক। যা অতি সহজলভ্য দেশের বিভিন্ন পাইকারী বাজারে হাত বাড়ালেই মিলছে অনাসায়ে এ সকল নকল মোড়ক। একই তো নকল মোড়ক তারপর আবার গায়ে নেই উৎপাদন বা মেয়াদর্ত্তীনের তারিখ, নেই ব্যাচ নং বা নির্ধারিত মূল্য।
উপজেলার ক্রেড়াগাছি ইউনিয়নের দফাদার বাকসা গ্রামের রহমত উল্লার ছেলে ইচছাক তার নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন একটি অবৈধ ভেজাল আইসক্রীম ফ্যক্টরী।  তবে এ ফ্যাক্টরির নিজস্ব কোনো নাম নেই। সকলেই চলে বাজার থেকে কিনে আনা মোড়কের ওপর নির্ভর করে।
একজন অভিভাবক সাহিনা বেগম জানান, এই যে গরম পড়া ধরলো এখন বাচ্চাদের বাইনা মেটাতে আমাদের এই অস্বাস্থ্যকর আইসক্রীম কিনে দেওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না। সব সময় তো হাতে টাকা থাকেনা যে নামিদামি কোম্পানীর আইসক্রিম কিনে দেব, তাই বাধ্য হয়ে ২/৫ টাকার আইসক্রীম কিনে দিতে হয়ে।
উপজেলার গয়ড়া এলাকার বাসিন্দা সমাজসেবক গোলাম রব্বানী বলেন, আইসক্রিম বাচ্চাদের খাওয়ানোই ঠিক না। তবুও বাইনা ধরলে আর কি করা দিতেই হয়। তবে দিলে ভালো মানের আইসক্রীম দেওয়া উচিত। তবে গরম পড়লেই ভেজাল আর নকল আইসক্রীমে সয়লাব হয়ে যায়। যে সকল প্রতিষ্ঠান ভেজাল আইসক্রীম উৎপাদন করে প্রশাসনের উচিত এই সকল প্রতিষ্ঠান শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া।
কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার  ডাঃ শফিকুল ইসলাম জানান, যে কোন আসক্রিমই শিশুদের জন্য ক্ষতিকর। তারপর যদি আবার রাসায়নিক প্রয়োগে তৈরী করা হয়। এই সকল আইসক্রীম স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর সাধন করে। বিশেষ করে শিশুদের অস্থিমজ্জার ক্ষতি হতে পারে। একই সাথে কিডনি ও লিভারের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এতে করে শিশুদের মানসিক বিকাশে চরম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
ভেজাল আইসক্রীম ফ্যক্টরির মালিক ইচছাক দফাদার বলেন, সকলকে কম বেশী ম্যানেজ করে গরমের সময় কিছু মাল বানায়। সেটাতে কোন সমস্যা হয় না। সোমবারে সাপ্তাহিক হাজিরায় থানায় যাব, আপনাদের নাম্বার দেন সেখানে দেখা করে কিছু ব্যবস্থা করব।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষন অধিদপ্তর সাতক্ষীরার সহকারি পরিচালক মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, আমাদের নিয়মিত ভেজাল পণ্য তৈরির ব্যাপারে অভিযান অব্যহত আছে। ভেজাল ও অনুমোদনহীন ও নোংরা পরিবেশে আইসক্রিম ফ্যাক্টরী সত্যতা মিললে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।