শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

টেলিযোগাযোগ খাতে ৫ শতাংশ বাড়তি কর বাতিলের দাবি
টেলিযোগাযোগ খাতে ৫ শতাংশ বাড়তি কর বাতিলের দাবি

টেলিযোগাযোগ খাতে ৫ শতাংশ বাড়তি কর বাতিলের দাবি

নিউজ ডেস্কঃ সরকারের কর আদায়ের সহজ পদ্ধতি নগদ আদায়ের সহজ পথ টেলিযোগাযোগ খাত ২০১৯২০ অর্থবছরে খাতের অবদান শতাংশ ২০২০২১ অর্থবছরে খাতের প্রবৃদ্ধি শতাংশ হবে বলে আমরা আশা করেছিলাম চার মোবাইল ফোন অপারেটরই খাতে বছরে ব্যবসা করে প্রায় ২৮৩০ হাজার কোটি টাকা যার সিংহভাগই সরকারি কোষাগারে জমা হয় দেশের ১৭ কোটি নাগরিকের কাছ থেকে সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর, সার চার্জ, আমদানি শুল্ক, আবগারি শুল্ক, সামাজিক নিরাপত্তা তহবিল, বিনিয়োগ কর, করপোরেট সিম ট্যাক্সসহ সব কর একজন নাগরিকের কাছে আদায় করার একমাত্র সহজ পদ্ধতি টেলিযোগাযোগ সেবা যে কারণেই গত বছরে কর বৃদ্ধি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের বঙ্গবন্ধু সেতু দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের জন্য নির্মাণাধীন পদ্মাসেতুতে খাতের গ্রাহকদের শতাংশ সার চার্জ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে চলতি মাসে ১৬ কোটি ২৯ লাখ ২০ হাজার সক্রিয় সিম ১০ কোটি ১১ লাখ ৮৬ হাজার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ব্যবহারের পূর্বেই রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ১০০ টাকায় ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর, শতাংশ সার চার্জ মিলে মোট ৩৩.৫৭ শতাংশ টাকা দিচ্ছে

বিটিআরসির তথ্য তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত তিন মাসে খাতে গ্রাহক কমেছে প্রায় ২০ লাখ উচ্চ মূল্য ৫০ শতাংশ নাগরিক সেবায় আসতে পারছে না যার ফলে, অনলাইন টিকিট কাটা থেকে বঞ্চিত থাকায় আজ যাত্রী সংকটের কারণে রেল বন্ধ করে দিতে হচ্ছে দেশের সব আদালত স্কুলকলেজ অনলাইন সেবার বাইরে রয়েছে এমতাবস্থায় সেবায় কর বৃদ্ধি অন্যায়গত বছর ধরে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনের রাত থেকেই কর আদায় হয়েছে, গ্রাহকদের সঙ্গে ন্যায় বিচার করা হয়নি আমরা অর্থ ফেরত চেয়ে ইতোমধ্যে সরকারের কাছে আবেদন করেছি সরকার বিষয়টি আমলে নিয়ে অর্থ গ্রাহকদের ফেরত প্রদানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন নিয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন তথ্যমন্ত্রী প্রতিবাদ করেছেন সেই সঙ্গে তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এবং সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম কর বৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে আমরা তাদের আহ্বানকে স্বাগত জানাই কিন্তু একই সঙ্গে বর্তমান ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে আমরা প্রশ্ন করছি তিনি কীভাবে কর বৃদ্ধির সুপারিশ সরকারকে দিলেন আমরা আগেই লক্ষ্য করেছি, আন্তর্জাতিক কলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বৈধ কলের হার কিভাবে নিম্নমুখী হয়েছিল বর্তমান কর বৃদ্ধির ফলে হাজার ৫০০ কোটি টাকা আদায় হবে বলে সরকারের যে পরিকল্পনা তা সঠিক নয় এতে করে ব্যবহার কমবে, রাজস্ব কম আদায় হবে অন্যদিকে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হবে রোববার (২১ জুন) বেলা ১২টায় অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানান মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টার কাছে বর্ধিত কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের আবেদন জানান

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।