মোঃ মনিরুল ইসলাম মনির,ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : খুলনার ডুমুরিয়ায় হতদরিদ্র মানুষের মাঝে শেখ হাসিনার দেয়া আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর ও জমির দলির হস্তান্তর করা হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে ডুমুরিয়ার আটলিয়া ইউনিয়নের কাঁঠালতা আশ্রায়ণ প্রকল্প থেকে সুফলভোগী পরিবারের মানুষের হাতে এগুলো তুলে দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ এর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্হিত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্যদেন সাবেক মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি,সুফলভোগী পরিবারের সদস্য অশোক দাস ও রিনা বেগম।
এ সময় উপস্হিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন,খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার মহিদ উদ্দীন,কেএমপি কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূইয়া, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন,খুলনা পুলিশ সুপার এস,এম শফিউল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউর রহমান,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এজাজ আহম্মেদ,ইউপি চেয়ারম্যান প্রতাপ রায় সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ,জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ জানান, ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, গৃহহীন থাকবে না একটিও পরিবার’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই অঙ্গীকার নিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন ‘ক’ শ্রেণী অর্থাৎ ভূমিহীন-গৃহহীন ১ হাজার ৮শ ৭৯টি পরিবারের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৪০টি হতদরিদ্র ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মানুষের জন্যে সরকারী ব্যবস্থপনায় তৈরী করা হয়েছে এক একটি পাঁকা ঘর। প্রতিটা ঘরের জন্যে ২ শতাংশ খাসজমির দলিল সম্পাদন করে সুফলভোগী পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর এই ঘরের মধ্যে দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রাকৃতিক দূর্যােগে উপকূল এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা হত দরিদ্র মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের সংস্হান হলো।
তিনি আরো জানান, উপজেলার আটলিয়া রঘুনাথপুর,সাহস ইউনিয়নের পৃথক তিনটি স্থানে ঘরগুলি নির্মিত হলেও আটলিয়ার কাঁঠালতলা নামক স্থানে বুড়ি ভদ্রা নদীর পাড় এলাকায় নির্মিত ঘরগুলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরাসরি যুক্ত হন। উপজেলায় ১ হাজার ৮শ ৭৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের তালিকা করা হয়েছে। মুজিব বর্ষের মধ্যেই যাদের পর্যায়ক্রমে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জমির দলিল পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে আবেগে কেঁদে ফেলেন এলাকার গৃহবধু রিনা বেগম। তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে প্রধান মন্ত্রীকে নিজের অনুভূতি ও উচ্ছ্বাসের কথা জানান।
রিনা বেগম বলেন, ‘আমার কিছুই ছিল না। থাকতাম অন্যের জায়গায়। এমন অবস্থায় ২ শতাংশ জমি ও একটি পাকা বাড়ির মালিক হতে পেরে খুবই আনন্দিত। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রীকে এই উপহার দেয়ার জন্য। আমি কখনো ভাবতেও পারিনি এমন বাড়ি আর জমির মালিক হতে পারবো।