লিটন রায়ঃ
র্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) খুলনা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কথিত ফাউন্ডেশন ‘‘হেল্পিং পাওয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ’’ এর নাম ব্যবহার করে কতিপয় প্রতারক খুলনা এবং বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার জনসাধারণ’কে জনসেবা ও কল্যাণমূলক হাদিয়া প্রদানের আশ্বাস দিয়ে তাদেরকে উক্ত ফাউন্ডেশনের সদস্য বানানোর নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ঘটনার বিস্তারিত অনুসন্ধানে জানা যায়, তাদের এই ফাউন্ডেশনের সদস্য হতে প্রাথমিকভাবে জনপ্রতি ৫৩০ (পাঁচশত ত্রিশ) টাকা অগ্রিম প্রদান করতে হয়। সদস্য পদ লাভের পর ষানমাসিক এবং বাৎসরিক ভিত্তিতে মোটা অংকের টাকা সদস্যদের মাঝে প্রদান করা হবে বলে প্রলোভন দেখিয়ে বিদ্যমান সদস্যদের আরও নতুন সদস্য এনে তাদের ফাউন্ডেশনে যোগদানের ব্যাপারে উদ্ভুদ্ধ করে। এই পদ্ধতিতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর, সদস্যদের বুঝে ওঠার আগেই উক্ত এলাকা ত্যাগ পূর্বক নতুন এলাকায় একই পদ্ধতিতে তাদের এই প্রতারণা কার্যক্রম পূনরায় শুরু করে।
২। এই প্রতারক চক্রটিকে গ্রেফতারে খুলনা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত ভাবে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও গোয়েন্দা অভিযান অব্যাহত রাখা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৪/০১/২০২১ ইং তারিখ আনুমানিক ১২.৩০ ঘটিকায় র্যাব-৬, (স্পেশাল কোম্পানী) খুলনা এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কেএমপি, খুলনার লবণচরা থানাধীন মোক্তার হোসেন রোডস্থ মোক্তার বাজার এলাকায় উক্ত প্রতারক চক্রের কিছু সক্রিয় সদস্য স্থানীয় লোকজন’কে ভুল বুঝিয়ে কথিত ফাউন্ডেশন ‘‘হেল্পিং পাওয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ’’ এর সদস্য বানানোর নামে অর্থ সংগ্রহ করছে।
৩। এরুপ প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের সদস্য ০১। মোঃ ইব্রাহিম (৩৩), পিতা-গোলাম মোস্তফা, মাতা-রোকসানা বেগম, সাং-সিদ্দিকিয়া মহল্লা সোনার বাংলা ০৫নং গলি, (আনোয়ার ফকিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া) থানা-সোনাডাঙ্গা, কেএমপি, খুলনা ২। একেএম সাদেকুর রহমান@আসাদ (৪৩), পিতা-মৃত-হাবিবুর রহমান, মাতা-মৃত-শামসুন্নাহার, সাং-রাজাপুর, থানা-শরণখোলা, জেলা-বাগেরহাট এ/পি সাং-সাচিবুনিয়া ওয়াজেদ নগর (রাজিব এর বাড়ির ভাড়াটিয়া), থানা-লবণচরা, কেএমপি, খুলনা ৩। মোঃ সেলিম আকন(৩৪), পিতা-মোঃ মতিউর রহমান, মাতা-খাদিজা বেগম, সাং-০৮নং দক্ষিণ শাখারী কাঠি, থানা-মঠবাড়িয়া, জেলা-পিরোজপুর এ/পি সাং-চিত্রালী সুপার মার্কেট, থানা-খালিশপুর, কেএমপি, খুলনাগণ’কে গ্রেফতার করেন। এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামীদের তল্লাশীকালে তাদের নিকট হতে ১। প্রতারিত সদস্যদের ভূয়া সদস্য কার্ড-৬০ পাতা ২। ভূয়া সদস্য ফরম-২০ পাতা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদের অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতার প্রমান পাওয়া যায়। এছাড়াও তারা তাদের কথিত ফাউন্ডেশন ‘‘হেল্পিং পাওয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ’’ এর কোন সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়।
এ সংক্রান্তে কেএমপি, খুলনার লবণচরা থানায় একটি প্রতারণা মামলা রুজু করা হয়।