আহসান উল্লাহ খোরদো (কলারোয়া) প্রতিনিধি :
কলারোয়ার বৃহত্তম খোরদো বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে চোখে পড়ে বেশ কিছু আম বাগান। ফাল্গুন মাস তাই আম ক্ষেত গুলো মুকুলে পরিপূর্ণ। বাংলাদেশের জাতীয় বৃক্ষ এই আম বৃক্ষ। আর এই ফাগুনে আমের বোলের বা মুকুলের সৌন্দর্য ও ঘ্রানের কথা আমরা শুনেছি আমাদের জাতীয় সঙ্গীত এ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখনীর মাধ্যমে। সত্যিই এটি মনমুগ্ধকর এক অপরূপ সৌন্দর্য। আম চাষের জন্য বিখ্যাত অঞ্চল রাজশাহী হলেও এই বৃহত্তম খোরদো অঞ্চল কিন্তু পিছিয়ে নেই। পারিবারিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এখানে বাণিজ্যিকভাবে করা হচ্ছে আম চাষ। খোরদো অঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে গেলে দু’চারটা ভিন্ন জাতের আম গাছ চোখে পড়ে। মূলত শীত শেষ হতে না হতেই আম গাছগুলোতে আমের মুকুল দেখা যাই। এই আম গাছ গুলোর বিভিন্ন রকম পরিচর্যার পর বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে গাছ থেকে পাকা আম পাওয়া যায়। এই এলাকাতে পারিবারিক চাষের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন কৃষক আম চাষ কে নিয়েছে বাণিজ্যিকভাবে। খোরদো গ্রামের একজন আম চাষী মোঃ সজিব হোসেন এর সাথে কথা বলে জানা যায়, আম এক বছর মেয়াদী একটি চাষ। আম গাছগুলোতে মুকুল আসার পূর্ব মুহূর্ত সময় থেকে পরিচর্যা করতে হয়। মুকুল আসার পূর্বে বিভিন্ন ভিটামিন জাতীয় কীটনাশক ব্যবহার করা হয় গাছের গোড়ায় সঠিক পানি সরবরাহ থেকে শুরু করে মুকুল থেকে আমের গুটি দাঁড়ানোর পর্যন্ত ভিটামিন এর পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষতিকারক জীবাণু ও পোকামাকড় এর হাত থেকে রক্ষা করতে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। আমার বাগানে বিভিন্ন জাতের আমের গাছ আছে তার মধ্যে হিমসাগর, আম রুপালি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ সহ বারোমাসি কিছু আম গাছ আছে। এ বছর কুয়াশা কম থাকায় আমগাছে ভালো মুকুল দেখা গেছে আশা করি ঠিকঠাক পরিচর্যা করতে পারলে ভালো মানের আম বাজারজাত করতে পারব। গতবছর আম্বানে আমার বাগানে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আম ঝরে গিয়েছিল এবং বেশ কয়েকটি আম গাছ উপড়ে গেছিল। এ বছর যদি এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে আশানুরূপ ফল পাব।