নতুন সূর্য ডেস্কঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছর ২০২০। তাঁর শততম জন্মবার্ষিকীর দিন, ১৭ই মার্চ থেকে শুরু হয়েছে মুজিববর্ষ উদযাপন। স্বাধীন বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একাত্মা। তিনিই একাত্তরের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাঁর ডাকেই মানুষ স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার দ্বারে পৌঁছানোর আগের বছরটি কেমন কেটেছিল বঙ্গবন্ধুর।
১৯৭১ সালের ১১ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে টেলিগ্রাম পাঠান বাঙালীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো। পাকিস্তানের অখন্ডতা ও সংহতি রক্ষার কথা জানিয়ে শেখ মুজিবের সাথে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন। ১৬ই মার্চ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ঢাকা সফরে আসবেন বলে জানান ভুট্টো।
১১ই মার্চ ঢাকার এক জনসভায় শেখ মুজিব বলেন, “আমার শক্তি এটাই যে আমি আমার জনগণকে ভালোবাসি। আর আমার দুর্বলতা, আমি এদের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। মুক্তি অর্জনে বাংলার মানুষ অটল থাকবে।” (সূত্রঃ ১২ মার্চ, ১৯৭১; দৈনিক সংবাদ)
চলমান অসহযোগ আন্দোলনের কারণে কল-কারখানা বন্ধ থাকায় নিউজপ্রিন্ট কাগজের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। নিউজপ্রিন্টের অভাবে ১১ই মার্চ থেকে করাচির ডনসহ পশ্চিম পাকিস্তানের পত্রিকাগুলো ১৪ পৃষ্ঠার পরিবর্তে মাত্র ৪ পৃষ্ঠা ছাপার সিদ্ধান্ত নেয়। এর প্রেক্ষিতে, সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খানকে বাঙ্গালির দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানায় পশ্চিম পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, অবিলম্বে প্রতিকার করা না গেলে পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।