সোমবার, ৬ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
কলারোয়া সীমান্তের মাদকের সম্রাট কানকাটা ইসারুল
কলারোয়া সীমান্তের মাদকের সম্রাট কানকাটা ইসারুল

কলারোয়া সীমান্তের মাদকের সম্রাট কানকাটা ইসারুল

নতুন সূর্য ডেস্কঃ

সীমান্ত রক্ষী বিজিবি’র কড়াকড়ি নজরদারির পরেও বন্ধ হচ্ছে না ভারতীয় ফেনসিডিলের অবৈধ পারাপার। ফেনসিডিলের ভয়াবহ ছোবলে শত শত যুব সমাজ আজ বিপদগামী। লেখাপাড়া জানা এসব যুবক প্রতিনিয়ত ফেনসিডিল পান করে আসছে।ফলে সামাজিক অবক্ষয় দিন দিন চরম আকার ধারণ করছে। বলা বাহুল্য, কলারোয়ার সদরসহ অপর সব ইউনিয়নে ফেনসিডিলের ভয়াবহতা দিন দিন এতোটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, মনে হয় ক’দিন পর এর করাল গ্রাসে সমাজটা দুমড়ে মুচড়ে যাবে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ মার্চ রাতে কলারোয়ার চন্দনপুর ইউনিয়ন চান্দুড়িয়া সীমান্ত ঘাট দিয়ে প্রবেশ করে সাড়ে ৭ শত বোতল ফেনসিডিল। বিজিবি ৩ শত বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করতে পারলেও বাকী ফেনসিডিল বিজিবি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়।জানা যায় উক্ত ফেনসিডিলের মালিক বিজিবি’র কথিত সোর্স নামে পরিচিত ইশারুল।কে এই ইশারুল চান্দুড়িয়া গ্রামের কেরামত আলির পুত ইশারুল জিরো থেকে হিরো।২০১০ সালে গুরুর ব্যবসা দিয়ে তার এই যাত্রা।২০১৪ সালে প্রকাশ্যে এক মুক্তিযুদ্ধো সন্তান কে পিটিয়ে হত্যা করে বনে যায় সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট। গরুর ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে ইশারুল চান্দুড়িয়া সীমান্ত জুড়ে গড়ে তোলে মাদকের সাম্রাজ্য। তারই ধারাবাহিকতায় গত বছরে করোনা ভাইরাসের কারনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পরিমানে মাদকদ্রব্য পাচার করে। তাতেই ইশারুল ৬ মাসে কোটি টাকার পাহাড় গড়ে তোলে। তার আছে আলিশন বাড়ি। আছে গাড়ি। অথোচো তার নেই নিজস্ব সম্পদ,নেই কোন ব্যবসা। তাকে আশ্রয় প্রশ্রয় আছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আছে সমাজপতি। এলাকয় ত্রাস সৃষ্টি করে দাপিয়ে তার মাদক পাচারের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে বড় বড় মাদক, সোনা, ইয়াবার চালান ধরা পড়লেও আড়ালে থেকে যায় ইশারুল। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, গতবছর ইন্ডিয়াতে চান্দুড়িয়া সীমান্তের নিকটবর্তী ভারতের গোপালপুরে তার দেড় কোটি টাকা মূল্যে ভারতী গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। বিষয় টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে এমনকি ঐ চালানে ভারতীয় আসামী পক্ষের লোকজন বিভিন্ন মাধ্যমে ইশারুল চাপ সৃষ্টি করে। যে আসামীদের জামিনের বিষয়ে টাকার জন্য। তাছাড়া গত নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ৭ কেজি সোনা বাংলাদেশ দেশ থেকে ভারতে প্রবেশের সাথে সাথে ভারতীয় বিএসএফ আটক করে।বিষয় টি নিয়েও সেই সময়ে এলাকায় তোড়পাড় শুরু হয়।এমনকি গোয়ালপাড়া গ্রামের মনিরের বাড়ীতে যেয়ে দেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হুমকি দিয়ে চলে আসে। এবং এই বলে জানিয়ে দেয় যে,আমার ৮০ লক্ষ টাকার সোনা ধরিয়ে দিয়েছিস তোরে যেখানে পাবো কুপিয়ে হত্যা করবো। বিষয়টা সেই সময়ে কলারোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও শেষ পর্যন্ত তদন্ত ছাড়াই থেমে যায়। এলাকা বাসির দাবি ইশারুল কে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে এলাকায় মাদকদ্রব্য পাচার বেড়ে চলার পাশাপাশি সচেতন অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে শংকায় দিন কাটাতে হবে।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।