শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে রেকর্ড গড়লেন ঢাবি’র রাসেল
বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে রেকর্ড গড়লেন ঢাবি’র রাসেল

বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে রেকর্ড গড়লেন ঢাবি’র রাসেল

নতুন সূর্য ডেস্কঃ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে বঙ্গোপসাগরের বাংলা চ্যানেলে ৯ জন সাঁতারু বিশেষ সাঁতারে অংশ নিয়েছেন। পাঁচজন দুবার (ডাবল পাড়ি) ও চারজন একবার (সিঙ্গেল) পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল।

দুবার পাড়ি দেওয়া পাঁচজন সাঁতারুর মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম সাঁতারু হিসেবে ১০ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় নিয়ে সাইফুল ইসলাম রাসেল বাংলা চ্যানেল (ডাবল ক্রস) পাড়ি দিয়ে রেকর্ড করেন। রাসেল এর আগে তিনবার (সিঙ্গেল) এ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলেন।সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে শাহপরীরদ্বীপের পশ্চিম পাড়া সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার। ডাবল বা যেতে আসতে একজন সাঁতারুকে ৩২ দশমিক ২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়।

অন্যদিকে, ২০০৬ সালের প্রথম আয়োজন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত টানা ১৭ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে রেকর্ড গড়েছেন সাঁতারু লিপটন সরকার। তিনি সোমবারও ৬ ঘণ্টা ৫০ মিনিটে সাঁতার শেষ করেন। এ সাঁতারের আয়োজক ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলা।

সাইফুল ইসলাম রাসেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের ছাত্র। তিনি অমর একুশে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। ডাকসুর (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) সাবেক সদস্য সাইফুল অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সুইমিং ও ওয়াটার পোলো টিমের অধিনায়ক। তার বাড়ি বরগুনা সদরে। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ।

রাসেল বললেন, ‘আমি সুইমিং ট্রেইনার। সুইমিং নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা। সুইমিং নিয়ে মানুষের মধ্যে যে ভীতি আছে, তা দূর করতে চাই। সঙ্গে সঙ্গে ইফোর্টলেস সুইমিংটা স্টাবলিশ করতে চাই এবং বিশ্বের কঠিনতম ইংলিশ চ্যানেলসহ সাতটা চ্যানেল পাড়ি দিতে চাই।’

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের এই স্রোতধারার নাম বাংলা চ্যানেল। ২০০৬ সাল থেকে বাংলা চ্যানেল সাঁতার শুরু হয়েছিল মূলত টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি থেকে। ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে সাঁতারুরা পৌঁছাতেন সেন্ট মার্টিনে। তবে এবার সাঁতার শুরু করা হয়েছে সেন্ট মার্টিন সৈকত থেকে।

গত সোমবার ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে সেন্টমার্টিন থেকে মো. সাইফুল ইসলাম রাসেল, মো. মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ শামুসুজ্জামান আরাফাত, মো. রাব্বি রহমান ও মো. এরশাদ খান মুশেদ ডাবল সাঁতার শুরু করেন। তবে রাসেল ছাড়া আর কেউ সফল হয়নি।

ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী ও রেকর্ডসংখ্যক ১৭ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া (এককভাবে সর্বোচ্চ সাঁতারু) লিপটন সরকার বলেন, ‘আমাদের এই সাঁতার আয়োজন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর একটি উদযাপন বলে মনে করি। আশা করছি আগামী নভেম্বরে ১০০ জন সাঁতারু নিয়ে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ১৬তম বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হবে।’

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।