শেখ শাহাজাহান আলী শাহীন
কলারোয়া উপজেলার বে-সরকারী স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসার শিক্ষকরা নীরবে কেঁদে চলেছেন। কাউকে কিছু বলতে পারছেন না যেমন, তেমনিভাবে নতুন করে সুদ ও ঋনের জালে আবদ্ধ হয়ে পড়ছেন। পবিত্র রমজানের শুরুতে মার্চ মাসের বেতন ছাড়লেও বাংলাদেশের ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তির কারনে অনেক শিক্ষক এক টাকাও বেতন পান নি।
২০১৯ ইং সালের করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ অবস্থার সময় ঋন নেওয়ার শিক্ষদের নিকট থেকে তিন মাস কিস্তি নেওয়া বন্ধ ছিল। কিন্ত ২০২১ ইং সালের ফ্রেরুয়ারী ও মার্চ মাসের বেতনের সাথে সাথে ব্যাংক চলতি কিস্তি সহ বাকী কিস্তির টাকা কেটে রাখে। যে কারনে গত দুই মাসের বেতনের এক টাকাও শিক্ষকরা তুলতে না পেরে নীরবে মানবেতর জীবন যাপন করছে। লজ্জায় শিক্ষকরা কাউকে কিছু বলতে পারছে না। বর্তমানে লকডাউন পরিস্থিতিতে অন্য কারো কাছ থেকে ধার পাওয়া যাচ্ছে না।
এইদিকে চলে এসেছে রমজান মাস। উপায় না অনেক শিক্ষক বাধ্য হয়ে সুদে টাকা নিয়ে সংসার চালাতে বাধ্য হচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, ব্যাংক আমাদের কাছ থেকে ধীরে অল্প অল্প করে কিস্তির টাকা কেটে নিক। আমাদের তো সংসার চালাতে হবে।তা না করে বেতনের পুরো টাকাটাই কেটে রাখলে চলবো কি করে? আর কার কাছেই বা বলবো?
এম/এইচ