শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
চতুর্থবারের মত ছাত্রত্ব ফিরে পেলেন যবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা শুভ
চতুর্থবারের মত ছাত্রত্ব ফিরে পেলেন যবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা শুভ

চতুর্থবারের মত ছাত্রত্ব ফিরে পেলেন যবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা শুভ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তর দে শুভকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিগত সময়ে বিভিন্ন কারন দেখিয়ে তিনবার বহিষ্কার করা হয়। তিনবার বহিষ্কারের পরও উচ্চ আদালত থেকে তিনি ছাত্রত্ব ফিরে পেয়েছেন।

ছাত্ররাজনীতি করার কারনে আর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া ও আন্দোলন করার কারনে দফায় দফায় উপাচার্য তার নিজস্ব ক্ষমতাবলে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগী ওই ছাত্রনেতা অন্তর দে শুভ। বিগত চার বছরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের দায়িত্বপালনকালে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অবৈধভাবে বহিষ্কার ও হয়রানি করেছেন যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আজকের এই অচলাবস্থা।

যশোর পৌর ছাত্রলীগের সদস্য এই নেতা জানান, স্কুল পর্যায় থেকে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আসছি। রাজনীতি করার জন্য বিভিন্ন সময়ে হয়রানির শিকার হয়েছি। তবুও ছাত্রলীগের নীতি ও আদর্শের জায়গা থেকে নূন্যতম বিচ্যুত হই নি।

অন্তর দে শুভ বলেন, তাকে প্রথম বহিষ্কার করা হয় ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর। উপাচার্যের ক্ষমতাবলে যবিপ্রবি আইন ২০০১ অনুসারে তাকে ও ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ইসমে আজম শুভকে বহিষ্কার করা হয়। তারপর একই বছরের ১০ নভেম্বর দুই বছরের জন্য দ্বিতীয়বার বহিষ্কার করা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীকে। যার মধ্যে ছিলেন শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা অন্তর দে শুভ, শহীদ মশিয়ূর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ইসমে আজম শুভ। আর সর্বশেষ তৃতীয়বার বহিষ্কার করা হয় ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৯ তম রিজেন্ট বোর্ডে। তখন ছাত্রলীগের পদধারী প্রায় ৪ নেতাকর্মীকে আজীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়। এর মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা অন্তর দে শুভ, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইকরামুল কবিরকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া শেখ হাসিনা হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়রা আজমিরা এরিনকে ও ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ইসমে আজম শুভকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয় ও পরবর্তীতে আবারও বহিষ্কারের হুমকি প্রদান করা হয়। এভাবে প্রতিবারই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদেরকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করেছে যা পরবর্তীতে উচ্চ আদালত খারিজ করে দিয়েছে।

এম/এইচ

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।