নতুন সূর্য ডেস্কঃ
রানা প্লাজা ও তাজরিনসহ সব কারখানার শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। শনিবার (২৪ এপ্রিল) সাভারে রানা প্লাজার সামনে অবস্থিত স্মৃতিস্তম্ভ এবং জুরাইন কবরস্থানে নিহত শ্রমিকদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
একইসঙ্গে সংগঠনটি করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করে খাদ্য, স্বাস্থ্য ও চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা দিবসে দেশের সব গার্মেন্ট শিল্পে সাধারণ ছুটি ঘোষণা; রানা প্লাজার জমি অধিগ্রহণ করে স্থায়ীভাবে অক্ষম শ্রমিকদের পুনর্বাসন এবং নিহত-আহত-নিখোঁজ শ্রমিকদেরও যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।
সমাবেশে নেতারা বলেন, হাজারও শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার গত ৮ বছরেও সম্পন্ন হয়নি। এতগুলো বছর পার হলেও রানা প্লাজা শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার হয়নি। উল্টো গ্রেফতার হওয়া মালিকসহ দায়ীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর জবাব সরকারকে দিতে হবে। একের পর এক শ্রমিক হত্যাকাণ্ডর বিচার না হওয়ায় ক্রমাগত ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
তারা আরও বলেন, পঙ্গু হয়ে যাওয়া শ্রমিকদের জন্য স্থায়ী পুনর্বাসন করা খুব জরুরি। কিন্তু সে ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ এখনও গ্রহণ করা হয়নি। আহত ও স্থায়ীভাবে অক্ষম শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। রানা প্লাজার জায়গা অধিগ্রহণ করে তাদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন করতে সে জায়গা ব্যবহার করতে হবে। চিকিৎসার অভাবে, অনাহারে-অর্ধাহারে অনেক আহত ও অক্ষম শ্রমিক মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে, তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশের শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষের ওপর সীমাহীন জুলুম-নির্যাতন নেমে এসেছে। এই অবস্থায় সরকার খাদ্য, চিকিৎসা, চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রমজীবী মানুষ ভয়াবহ সংকটের মুখে পতিত হয়েছে। তাদের এই সংকট থেকে উত্তরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাড. মন্টু ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, সহ-সভাপতি শ্রমিক নেতা ইদ্রিস আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম মিন্টু, কোষাধ্যক্ষ এম এ শাহীন প্রমুখ।