শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দিনভর ওঠানামার খেলা,জয় এল শেষে রাউন্ডে
দিনভর ওঠানামার খেলা,জয় এল শেষে রাউন্ডে

দিনভর ওঠানামার খেলা,জয় এল শেষে রাউন্ডে

নতুন সূর্য ডেস্কঃ

নন্দীগ্রামের মাটিই একসুতোয় বেঁধে দিয়েছিল তাঁদের। আর সেই মাটিতেই একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছিলেন। তবে জমি আন্দোলনের ভূমিতে শেষমেশ মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের মুখেই হাসি ফুটল। তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপি-তে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে পরাজিত করলেন তিনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, ১২০১ ভোটে নন্দীগ্রামে জিতেছেন মমতা।

গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বিজেপি-তে যোগ দেন শুভেন্দু। তার পর লাগাতার মমতা ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যান তিনি। সেই তুলনায় তৃণমূল অনেকটাই স্তিমিত ছিল। তবে অধিকারীদের সঙ্গে সম্পর্কের শেষ পেরেক পোঁতেন মমতাই। নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, সেখান থেকেই ভোটে লড়বেন তিনি।

তার পরই নীলবাড়ির লড়াইয়ে বাংলার রাজনীতির যাবতীয় সমীকরণ উল্টে যায়। ১০ মার্চ আনুষ্ঠাানিক ভাবে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন মমতা। ওই দিনই নন্দীগ্রামে আক্রান্ত হন মমতা। পায়ে আঘাত পান। তা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে তরজা চরমে ওঠে।

এমনকি ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে যে দিন ভোটগ্রহণ, সে দিন সেখানে থাকলেও, শুভেন্দুর মতো সকাল থেকে বুথে বুথে ঘুরতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরং দুপুরে বয়ালে ঝামেলার খবর পেয়ে প্রথম বাইরে বেরোন মমতা। বয়ালে তাঁকে দেখে আবেগের বাঁধ ভাঙে স্থানীয়দের। বিজেপি ভোট লুঠ করছে বলে তাঁকে জানান গ্রামবাসীরা।

অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দু’ঘণ্টা ঠায় বুথের ভিতর বসেছিলেন মমতা। সেই সময় তাঁকে তাচ্ছিল্য করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘খেলা তো হয়ে গিয়েছে। ৮০ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছে। এখন আর কী করবেন।’’ কিন্তু নন্দীগ্রামে ভোটের খেলায় মমতার কাছেই শেষমেশ গোল খেতে হল তাঁকে। ভোটের ফলাফল বেরনোর পর রবিবার হুইলচেয়ার ছেডে় পায়ে হেঁটেই দলীয় কার্যযালয়ে ঢোকেন মমতা।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।