স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এবার চার বছরের এক শিশুসহ ১১ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুরে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জেলাব্যাপী ও সীমান্ত অঞ্চল গুলোতে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়তে শুরু করায় সাতক্ষীরা জেলা করোনার নতুন হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। অসচেতনতা ও সামাজিক দূরত্ব না মেনে মাস্কবিহীন উন্মুক্ত চলাফেরার কারণে করোনা সংক্রমণের এই উর্দ্ধগতি। এখনই সচেতন না হলে করোনা ভয়াবহ আকারে বিস্তারলাভ করতে পারে।
করোনা আক্রান্ত শিশুর বাবা মাসুদ হোসেন বলেন, প্রথমে বৃদ্ধ মা ও পরে তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হন। একপর্যায়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে করোনা পরীক্ষা করালে নতুন করে শিশু নুসরাত আরোহীর দেহে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। শিশুটিকে কোনমতে তার মা ও দাদীর কাছ থেকে আলাদা রাখা যাচ্ছে না। এজন্য তার শরীরেও করোনা সংক্রমণ হয়েছে। তবে শিশুর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভালো আছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে ২৭ এপ্রিল থেকে নতুন করে ৩০ জন ও গত বছরের প্রথম ধাপের ১১৫ জন দিয়ে উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ১৪৫ জন।
এদিকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে করোনার প্রাদূর্ভাব রুখতে কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী সোনাবাড়ীয়া, চন্দনপুর ও কেঁড়াগাছি ইউনিয়নে বাড়তি সতর্কতা, বিধি নিষেধ ও বিশেষ নিদের্শনা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। কেউ যেন অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার করতে না পারে সেজন্য বিজিবি কঠোর নজরদারী করছে।
স্থানীয় জনগণকেও এ ব্যাপারে সচেতন থাকার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।