মনিরুল ইসলাম মনি:
সাতক্ষীরার কলারোয়ার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের রাইটা গ্রামের প্রাচীন বটগাছটি মানুষের গলার কাঁটা। পার্শ্ববর্তী জমির মালিকরা বারবার অভিযোগ জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেননি মায়রানীর পরিবারের সদস্যরা। ২০২০ সালে আম্ফান ঝড়ে গাছের উপরের অংশ ভেঙে পড়ে পার্শ্ববর্তী আরশাদ আলীর ঘরের উপর। সেই ঘরটি জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকলেও কোনো ক্ষতি পূরণ পাননি। সে সময় থেকে সতর্ক করে আসছেন কামরুল হাসান। রবিবার
(৬ জুন) বেলা সাড়ে ৪ টায় বটগাছের বাকি একাংশ ভেঙে পড়ে আরাক পাশের জমির মালিক কামরুল হাসানের বাড়ির ছাদে। ভেঙ্গে যায় বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন। গাছ পড়ার কারণে তার বিল্ডিংটি অকেজো হয়ে গেছে।এ বিষয়ে কামরুল হাসান মায়ারানী বসুকে অভিযুক্ত করে কলারোয়া থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানাযায় মায়ারানীর জামাতা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রতিকার তো করেনি উল্টো হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। উক্ত প্রশাসন ব্যক্তির ভয়ে এলাকার কোন মানুষ মুখ খোলে না বলেও উল্লেখ করেন। অভিযোগে তিনি আরও বলেন, আমি বিভিন্ন ভাবে বারংবার তাদের কাছে গাছের ডাল কেটে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও তারা কর্ণপাত করেননি।এই বিষয়ে ভুক্তভোগী কামরুল হাসান সাংবাদিকদেরকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি তিন সন্তান স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করি এই বাড়িতে।এখন আমি পরিবারসহ রাস্তায় নেমে গিয়েছি। আমার থাকার ঘর আর নেই। তাদের কাছে প্রতিকার চাইতে গেলে তারা আমাকে বলে তাদের গাছ তলায় কেন আমি ঘর উঠেছি। কিন্তু এটাতো আমার নিজের জমি। আমি তাদেরকে বারবার আমার ঘরের উপর থেকে গাছ সরিয়ে নিতে বলেছি তারা নেয়নি। বারবার বলেছে ক্ষতি হলে দেখবো। ক্ষতিগ্রস্থ কামরুল হাসান মাননীয় আইজিপি ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলী আহম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, আমি বারবার এই বিষয়ে অভিযুক্ত পরিবারটিকে অবগত করেছি কিন্তু তারা কর্ণপাত করেননি।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব মীর খাইরুল কবির সাংবাদিকদেরকে জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।