সেলিম খান :
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় হেলাতালা ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামে পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় কৃষক স্কুলের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০) জুন ২৫ জন কৃষকদের ১৪ দিন প্রশিক্ষণ শেষে কৃষক স্কুলের(আইপিএম স্কুলের) শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট ও সম্মানী করা হয়।
মোঃ আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার একে এম মামুন রশিদের উপস্থাপনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল হক,উপ-সহকারি কৃষি অফিসার সমীর কুমার ঘোষ।
প্রধান অতিথি কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে পাঁচটি তৈরি করে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্লক পরিদর্শন করেন। প্রদর্শনী ব্লগগুলোতে এপিএম ক্লাসের ছাত্ররা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আধুনিক যান্ত্রিক এর ব্যবহার, উপকারী পোকা সংরক্ষণ, অপকারী পোকা দমন, বিষমুক্ত খাবার, পরিবেশন সেচ প্রকল্পের আধুনিক ব্যবহার, বিষ প্রয়োগে কৃষকের সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রদর্শনী।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাষী জানান, আমাদেরকে ১৬ সপ্তাহে যে ক্লাসটা দেয়া হয়েছে এ থেকে আমরা অনেক কিছু জানতে পেরেছি, যেমন আগে আমরা জানতাম না আমাদের কোন পোকা গুলো উপকারী আর কোন পোকা গুলো অপকারী আমরা মনে করতাম সব আমাদের ফসলের ক্ষতি করে। বিষ প্রয়োগ না করে কিভাবে ক্ষতিকর পোকা দমন করা যায় এটা আমরা শিখতে পেরেছি এই ক্লাসের মাধ্যমে। আমাদেরকে উপজেলা কৃষি অফিসার স্যারেরা মাঠে এসে আমাদেরকে হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদান করেছেন এ বিষয়ে। এসকল প্রযুক্তি প্রয়োগ করলে বাংলাদেশ বিশ মুক্ত ফসল উৎপাদন করতে পারবে বলে মনে করেন চাষীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকারের নির্দেশনায় কৃষি-সম্প্রসারণ-অধিদপ্তর চেষ্টা করছে যান্ত্রিক উপায়ে বিষমুক্ত প্রকৃতি ভারসাম্যপূর্ণ পুষ্টিকর খাদ্য উপহার দিতে। সেই লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে কলারোয়া উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। তারই ধারাবাহিকতায় কলারোয়া উপজেলার কৃষি অধিদপ্তর ১৪ দিন জাফরপুর গ্রামের কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তাদেরকে শিখানো হয়েছে কিভাবে উপকারী পোকা কে কাজে লাগিয়ে উন্নত মানের ফসলের উৎপাদন বাড়ানো যায়। বিষ প্রয়োগ না করে ক্ষতিকর পোকা দমনের বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আগামীতে পুষ্টি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কৃষকের ভূমিকা নেই বলে উল্লেখ করেন এই কৃষিবিদ। করোনাকালীন সময় কৃষকের বিকল্প নেই।