মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টিতে ঝাউডাঙ্গায় পেঁয়াজ-রসুন-আলুর বাজারে হাঁটু পানি : কর্তৃপক্ষ নিরব!
আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টিতে ঝাউডাঙ্গায় পেঁয়াজ-রসুন-আলুর বাজারে হাঁটু পানি : কর্তৃপক্ষ নিরব!

আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টিতে ঝাউডাঙ্গায় পেঁয়াজ-রসুন-আলুর বাজারে হাঁটু পানি : কর্তৃপক্ষ নিরব!


মনিরুল ইসলাস মনিঃ

চলাচলের পথ-ড্রেন বন্ধ করে রাস্তায় ইট রাখা ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাসহ বাজার কমিটির সঠিক তদারকি না থাকায় হাল্কা বর্ষণে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারের পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও কলার পাইকারি আড়ৎয়ের রাস্তাসহ দোকান গুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় চরম বিপাকে ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া ২০ পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র চলাচলের রাস্তা এটি। হাল্কা বর্ষা হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় পড়তে হয় বিপাকে। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ী শেখ আব্দুল খালেক চলাচলের পথ দখল করে ও পানি নিষ্কাশনের ড্রেন বন্ধ করে ইট রাখায় রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার গুলো ও ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া প্রায় সময় পাশে থাকা হোটেল পাকঘরের ময়লা আবর্জনায় দুর্গন্ধে রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী হলেও সেদিকে বাজার কমিটির নজর না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার উপরে প্রায় হাটু পরিমাণ পানি জমে আছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আশেপাশের ৮-১০টি পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও কলাসহ বেশ কয়েকটি আড়ৎসহ বাজারের শেডে পানি প্রবেশ করে মালামাল ভিজে যাওয়ায় চরম দূচিন্তায় পড়েছে ব্যবসায়ীরা। 

ব্যবসায়ীরা জানান, লকডাউনের কবলে পড়ে একদিকে আধা বেলা দোকানদারি অন্যদিকে জলাবদ্ধতায় ব্যবসার ক্ষতি। বর্ষা নামলেই আমাদের দিন-রাত দুচিন্তায় থাকতে হয়। আগে কখনো এমন স্যাতস্যাতে-জলাবদ্ধতা হত না। এর প্রভাবে ক্রেতা সমাগমও কমে গেছে। পানি নিষ্কাশনের একটি ড্রেন থাকলেও সঠিক তদারকির অভাবে প্রায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তারপর ড্রেনের উপরে ও রাস্তার পরে সারিবদ্ধ করে ইট রাখাতে একটু বর্ষা নামলেই পানি না সরাতেই রাস্তাসহ ঘরে ও শেডে হাটু পরিমাণ পানি উঠে মালামাল ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। সেই সাথে চরম বিপদে পড়তে হয় এ পথে চলাচলকারী বাসিন্দাদের। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বাজার কমিটিকে অবহিত করেও কোনো প্রতিকার পাইনা।

এবিষয়ে ব্যবসায়ী শেখ আবুল খালেক জানান, আমার ইট রাখার কারণে সমস্যা হচ্ছে না। তারপরেও ইট গুলো আমি সরিয়ে নেব কিন্তু সরিয়ে নেওয়ার মানুষ পাচ্ছি না। অন্যদিকে, ঝাউডাঙ্গা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি। ইট গুলো সরিয়ে ড্রেনটা পরিষ্কার করার জন্য স্থানীয় কোনো লোক না পাওয়ায় বাজার কমিটির এক সদস্যকে কলারোয়ায় লোক খুঁজতে পাঠিয়েছি। বাজারের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার্থে ও জলাবদ্ধতা থেকে নিরসন পেতে জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।