বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
বিরামপুরে পাটের বাম্পার ফলন, দামও বেশি,খুশি কৃষকরা
বিরামপুরে পাটের বাম্পার ফলন, দামও বেশি,খুশি কৃষকরা

বিরামপুরে পাটের বাম্পার ফলন, দামও বেশি,খুশি কৃষকরা

বিরামপুর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে চলতি বছরে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ভালো দাম থাকায় বেশ খুশি কৃষকরা। এখন পাট কাটা,পাট জাগ দেওয়া ও আঁশ ছাড়ানোর কাজে বস্ত্য সময় পার করছে বিরামপুরের পাট চাষীরা। তথ্যমতে জানা যায় যে,বিরামপুর উপজেলায় বিঘাপ্রতি প্রায় ১০ থেকে ১২ মণ পাট হয়। এতে খরচ হয় ৬ থেকে ৭হাজার টাকা। অর্থ্যাৎ খরচের প্রায় তিনগুণ লাভ বেশি হয়।

পৌর শহর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের সারাঙ্গপুর গ্রামের পাট চাষী মোকারম হোসেন বলেন, গতবছর আমি ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করছিলাম। বিঘাপ্রতি ১৬ মণ পাট পেয়েছিলাম। আশা করছি, এবারও তেমনই পাবো। দাম ভালো থাকায় এ বছর ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করছি। গতবারে ২হাজার ৫শত টাকা মণে পাট বিক্রি করেছি। এবার বাজারে ৩ হাজার ১শত টাকা দাম রয়েছে। আশা করি, এবার আরো ভালো মূল্য পাবো।

উপজেলার ৭নং পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের পাট চাষী নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ৩৭ শতক জমিতে পাট লাগিয়েছি। মোটামুটি ফসল ভালো হয়েছে। বীজ থেকে চারা বড় করার জন্য প্রচন্ড রোদ থাকায় ঘন ঘন সেচ দিতে হয়েছে, আগাছা দমন করার জন্য অনেক খরচ হয়েছে। কীটপতঙ্গের দিক থেকে,পাটে বিষাক্ত পোকা না থাকাই ঔষধ কম দিতে হয়েছে,পাথর ও কোনো দুর্যোগ না থাকায় পাট অনেক ভালো হয়েছে,বাজারে পাটের দামও অনেক বেশি থাকায় আমাদের তেমন লোকসান হয়নি। ৩৭ শতক জমিতে ৯মণ পাট পেয়েছি। এতে করে আমরা পাট চাষীরা অনেক খুশি।

শ্রীপুর দক্ষিণ পাড়ার আরেক পাট চাষী আব্দুল মতিন বলেন, আমি ৬০ শতক জমিতে পাট লাগিয়েছি। মোটামুটি ফসল ভালো হয়েছে, পাটে তেমন কোন ঔষধ ব্যবহার করা হয়নি, পাথরে নষ্ট ও হয়নি, ৬০ শতক জমিতে ১৬মণ পাট পেয়েছি। এবারে পাটের দাম অনেকটা ভালো। এতে করে আমরা পাট চাষীরা বেশ খুশি।

জানতে চাইলে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, উপজেলায় এবার ১৯০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। বাজারে পাটের দাম ভালো থাকায় কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহী হয়েছে। ইতিমধ্যে মাঠের সব পাট কাটা প্রায় শেষের পথে। এখন জাগ আর আঁশ ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। আশা করছি, এবারও লাভের মুখ দেখবে কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূল ও প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ না থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার অফিসার ও মাঠকর্মীরা পাট চাষের জন্য সব সময় কৃষকদের সেবা ও পরামর্শ দিয়ে আসছে। আশা করছি, আগামীতেও কৃষকদের পাট চাষে আগ্রহ অনেক বাড়বে।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।