যবিপ্রবি প্রতিনিধি
সড়ক দুর্ঘটনায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার সুমির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন।
আজ(১লা জানুয়ারী) রোববার বিকেল চারটার দিকে চুড়ামনকাটির রেলক্রসিংয়ের ইটভাটা সংলগ্ন রাস্তায় ট্রাক চাপায় ফারজানা আক্তার সুমি ইন্তেকাল করেন বলে সুমির শিক্ষক, সহপাঠী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামে। তাঁর অকাল মৃত্যুতে যবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুর্ঘটনার খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে অনেকই ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে ছুটে যান।
এক শোকবাণীতে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, সুমির দুর্ঘটনার খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমি হাসপাতালে ছুটে গিয়েছি। একই সময়ে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের আরও একজন শিক্ষার্থী মুতাসিন বিল্লাহ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। তাঁর আশু সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আসলে সড়ক দুর্ঘটনা যবিপ্রবির বেশ কয়েক জন মেধাবী শিক্ষার্থীর অকাল প্রয়াণ হয়েছে অথবা মারাত্মক আহত হয়ে তাঁরা চিকিৎসা নিয়েছেন। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে সড়কে মৃত্যুর মিছিল ঠেকানো যাবে না। শোক বার্তায় তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী আমার কাছে সন্তানসম। সড়ক দুর্ঘটনায় বলি হয়ে আমার সন্তানের এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। তাঁকে হারিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের প্রতিটি সদস্য আজকে গভীরভাবে শোকাহত। আমি ফারজানা আক্তার সুমির রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পিতা-মাতা, পরিবার-পরিজন, দীর্ঘদিনের শিক্ষক-সহপাঠীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
এদিকে ফারজানা আক্তার সুমির অকাল প্রয়াণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগ পরিবার, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর, যবিপ্রবি ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও তাঁর অকাল প্রয়াণে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে।