মোস্তফা হোসেন বাবলু,স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সোনালী রঙের সমারোহে ভরে উঠেছে ইরি-বোরো ধানের ক্ষেত। ভালো ফলনে চাষিদের মুখে ফুটে উঠেছে খুশির ঝিলিক।তবে চলতি বোরো-ইরি মৌসুমে ধান কাটতে অতিরিক্ত মজুরি ও শ্রমিক সংকটে পড়েছেন কৃষকরা। দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দিয়েও পুরুষ শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
অনেকে বাধ্য হয়ে কম মজুরি নারী শ্রমিক ও পরিবারের লোকজন নিয়ে ধান কাটছেন। অনেকে আবার বাড়তি পারিশ্রমিক দিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলছেন। এর ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে লোকসান হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। এমনকি ঘটনা ঘটেছে উপজেলার দেয়াড়া পাকুড়িয়া গ্রামে প্রধানমন্ত্রী কৃষিপদক প্রাপ্ত কূষানী মহিলা মেম্বার আকলিমা খাতুনের ক্ষেতে। এবছর তিনি চার বিঘা ইরি ধান চাষ করেছিলেন, কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাঠ থেকে দ্রুত ধান উঠাতে চেয়েছিলেন কিন্তু এবছর এক সাথে সব কৃষকের ধান পাকায় পুরুষ শ্রমিকের প্রচণ্ড সংকটে পড়েছে। এদিকে প্রতিদিন সন্ধ্যা এবং বিকালে হলে বৃষ্টি শুরু হয়। এজন্য পাকা ধান জমিতে নষ্ট হতে না পারে।এ ভয়ে এলাকার মহিলা মেম্বার আকলিমা খাতুন পাকা ধান ঘরে উঠানোর একটা নারী শ্রমিক দল তৈরি করেছে।
দেয়াড়া ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামের কৃষক রসূল জানান আমার এক বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি।এ ধান কাটতে পুরুষ শ্রমিকের মজুরি লাগবে ছয় হাজার টাকা। সেই জমির ধান নারী শ্রমিক দিয়ে কাটতে টাকা লাগছ মাত্র চার হাজার টাকা।
উপজেলার ছলিমপুর গ্ৰামের কৃষক মো. সেলিম বলেন, ‘আমি ৫০ শতক জমিতে বোরো আবাদ করেছি। ঈদুল ফিতরের আগে থেকে ধান কাটতে চাচ্ছি। কিন্তু, শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না। আমার পাকা ধান ঝরে পড়ছে।’ এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে । আমরা সবদিক থেকে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান এ বছর উপজেলায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি ধানের আবাদ হয়েছে। তবে কিছুটা শ্রমিক সংকট হলেও আমরা অফিস থেকে কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার কথা বলেছি। তাছাড়া আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ যন্ত্রাংশ নাই।