পাশের বাড়ির আঙিনা কলকাতা ইডেন গার্ডেনসে আজ বেঙ্গল টাইগার্সরা মুখোমুখি হবে পয়েন্টস তালিকার সব চেয়ে নিচে থাকা টিউলিপ ফুলের দেশ নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে। সরল সমীকরণে বাংলাদেশ সহজ জয় পাবে মনে হলেও নানা কারণে বিবর্ণ ,বিপর্যস্ত বাংলাদেশ নিয়ে কিন্তু ভরসা করা যাচ্ছে না. প্রথম খেলায় আফগানিস্তানকে হারালেও পর পর চারটি ম্যাচে বিশাল ব্যবধানে শোচনীয় ভাবেই হেরেছে বাংলাদেশ ইংল্যান্ড , নিউজিলান্ড ,ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে বিরতিতে নিজ উদ্যোগে দেশে ফিরে নিজের বেড়ে উঠা কালের প্রশিক্ষক নাজমুল আবেদিনের কাছে তালিম নিলো অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। টুর্নামেন্টের পয়েন্টস তালিকায় সবার নিচে থাকলেও নেদারল্যান্ডস কিন্তু একমাত্র দল যারা টুর্নামেন্টে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাটিতে টেনে নামিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া ছাড়া অন্যান্য দলের সঙ্গে কোমর কোষে লড়াই করেছে। তাই খেলার আগেই জিতে গাছে ভাবার অবকাশ নেই কোনো। আজ বাংলাদেশকে অবশ্যই নিজেদের সেরা খেলাটাই খেলে জয় পেতে হবে. আজ বাদে খেলা বাকি থাকবে পাকিস্তান, শ্রীলংকা এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। কোনো দলের বিরুদ্ধেই বাংলাদেশ জিতবে নিশ্চিত করে বলা যায় না.
কলকাতা ইডেন গার্ডেন্স উইকেট। খুব একটা সুখ স্মৃতি আছে বাংলাদেশের বলা যাবে না. এযাবৎ একমাত্র খেলা দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে শোচনীয় ইনিংস ব্যাবধানে পরাজয়ের দুঃস্বপ্ন আছে. তবু এটি সাকিবের আইপিএল দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের ঘরের মাঠ। অধিকাংশ দর্শক বাংলায় চিৎকার করবে। বাংলাদেশিদেরও একটা উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি থাকবে। জ্বলে ওঠার মোক্ষম সুযোগ ,মাহেন্দ্রক্ষণ। আজ ইনিংস সূচনায় জুনিয়র তামিম ,লিটন দাস ভালো করতেই হবে. হয়তো নিজেকে ফিরে পাবে হারিয়ে খুঁজতে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত ,সুপারিশ করবো মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং সাকিবকে ৪.৫ ,৬ নম্বরে খেলানোর। কলকাতা উইকেটে মুস্তাফিজের জায়গায় তরুণ তানজিম সাকিবকে খেলানো যায় কিনা দেখা যেতে পারে। জানিনা উইকেটে স্পিন ধরবে কিনা। যদি তাই হয় তাহলে একজন পেসার কম খেলিয়ে শেখ মাহেদিকে খেলানো যেতে পারে। ম্যাচ জয় ছাড়া বিকল্প নেই. তবে কাজটি খুব সহজ হবে না. শুনেছি আজ বিসিবি সভাপতি মাঠে থাকবেন। দেখা যাক তার উপস্থিতি দলকে কতটুকু উৎসাহিত করে. একটি জয় কিন্তু পাল্টে দিতে পারে চিত্রপট।
লেখাঃ আব্দুস সালেক সুফী,সিনিয়র ক্রীড়া বিশ্লেষক ও আন্তর্জাতিক জ্বালানী পরামর্শক