মোঃ মনিরুল ইসলাম মনির, ডুমুরিয়া প্রতিনিধি:
ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন প্রায় চার মাস পর। তবে এখন থেকে সরগরম ওই এলাকা। পাড়া মহল্লার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাট বাজার অবধি সর্বত্রই একটাই আলোচনা নির্বাচন ।
এসব আলোচনার মধ্য গুরুত্ব পাচ্ছে কে পাচ্ছেন নৌকার মনোনয়ন,আর কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি। তার মধ্য উল্লেখযোগ্য মেহেদী হাসান বিপ্লব। তিনি স্হানীয় সংসদ সদস্য বাবু নারায়ণ চন্দ্র চন্দ’র অনুসারী বলে পরিচিত।
তিনি খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ডুমুরিয়ার খর্নিয়া বাজার কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
“দৈনিক নতুন সূর্য’র” সাথে একান্ত আলাপকালে তিনি জানান,তার পিতা মরহুম শেখ মোকছেদ আলী খর্ণিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন । তিনি আততায়ীর গুলিতে নিহত হন ।আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসাবে ইতোমধ্যে জোরেশোরে কাজ শুরু করেছেন। প্রতিদিনই তার গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। তাদের সুবিধা অসুবিধায় পাশে থাকার চেষ্টা করছেন।
তার মতে, খর্ণিয়া ইউনিয়নের সর্ব স্তরের মানুষ তাকে আপন করে নিয়েছে। স্হানীয় সাধারন মানুষ মনে করেন আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান পেতে হলে মেহেদী হাসান বিপ্লবের কোন বিকল্প নেই।
মেহেদী জানান, দেশরত্ন প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড বলে খ্যাত ছাত্রলীগের কর্মী থেকে উঠে আসছি। তৃণমূল নেতাদের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমি মুজিব আদর্শের সৈনিক। সেই আর্দশকে বুকে ধারণ করে আমার এগিয়ে চলা । আসন্ন নির্বাচনে স্হানীয় আওয়ামীলীগ সহ জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এর কাছে আমি জোরালভাবে নৌকার মনোনয়ন চাইবো। আমার প্রত্যাশা, অগ্রজ নেতৃবৃন্দ আমাদের খর্ণিয়ার জনগণের মনের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাবে, কেননা খর্ণিয়ার শত সহস্র মানুষের ভালোবাসায় আমি নির্বাচনের মাঠে নেমেছি।
তবে শেষ কথা হলো দল যাকেই মনোনয়ন দেবে তার পহ্মেই আমি কাজ করবো। তবে দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ তৃণমূলের মনের অভিরুচি নিশ্চয়ই বৃথা যাবেনা । তাছাড়া আওয়ামীলীগ একটি বৃহৎ দল। এখান থেকে একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন চাইবেন এটাই স্বাভাবিক।তাই মনোনয়ন পাই বা না পাই তাই ভেবে বসে নেই, দলের জন্য আমি কাজ করে যাচ্ছি। এভাবে জীবণের শেষ অবধি পর্যন্ত দলের জন্য, নৌকার জন্য কাজ করে যাবো ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।।