সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
শার্শার সামটা মাদরাসায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিজয় দিবস উদযাপিত
শার্শার সামটা মাদরাসায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিজয় দিবস উদযাপিত

শার্শার সামটা মাদরাসায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিজয় দিবস উদযাপিত

নিজস্ব প্রতিনিধি:
শার্শার সামটা ছিদ্দিক্বীয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর বুধবার সকাল দশটায় মাদরাসা অডিটোরিয়ামে কোভিড -১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ বিজয় দিবস উদযাপিত হয়।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা মোমিনুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি বিশিষ্ট কলামিস্ট, সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ।

উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় এসময় অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী, সদস্য মোঃ গোলাম আযম, মোহাম্মদ লালটু গাজী, সহকারি অধ্যাপক আলহাজ্ব মাও.আব্দুর রশিদ, কবি হেলাল আনওয়ার, আলহাজ্ব মাওলানা হাবিবুর রহমান, প্রভাষক ইকবাল হোসাইন, প্রভাষিকা ফাতেমা নুসরাত আইরিন, জান্নাতারা।

আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারি শিক্ষক মাওলানা আলহাজ্ব রহমাতুল্লাহ, লাইব্রেরিয়ান হাজি সেলিম, সহকারি শিক্ষক মাওঃ সাইফুল ইসলাম, নুর হাসান, নুরুন্নাহার, খাদিজা খাতুন,শরিফা খাতুন শরিফুল ইসলাম,রফিকুল ইসলাম, কম্পিউটার শিক্ষক মোজাম্মেল হক,অফিস সহকারি আবুল হাসান, মৌলভী আবু বকর ছিদ্দিক,ক্বারী শামছুদ্দীন প্রমূখ।

প্রধান অতিথি মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ তার বক্তব্যে বলেন-
আজ ১৬ই ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরব ও অহংকারের দিন। লাখ লাখ বীর মুক্তিযোদ্ধার রক্তস্রোত, স্বামী-সন্তানহারা নারীর অশ্রুধারা, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা আর বীরাঙ্গনাদের সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে ৯ মাসের যুদ্ধ শেষে অর্জিত হয়েছিল মহান এই বিজয়। ৪৯ বছর আগে এই দিনে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছিল আত্মপরিচয়ের ঠিকানা। আজ কৃতজ্ঞ জাতি সশ্রদ্ধ বেদনায় স্মরণ করছে দেশের বীর সন্তানদের।

স্মরণ করছি গভীর বেদনা ও শ্রদ্ধায় তাদেরকে স্বাধীনতার জন্য যে অকুতোভয় বীর সন্তানেরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আড়ম্বর আয়োজন ছাড়াই সরকারি নির্দেশনা পালন করে যথাযোগ্য মর্যাদায় সারাদেশে কে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে।

আলোচনা শেষে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী সকল শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। এছাড়া মোনাজাতে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর রূহের মাগফিরাত কামনা করেও দোয়া করা হয়।

দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন অত্র মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান ফারুকী।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।