স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাঙালি জাতির বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন । আজ মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। করোনা মহামারীর কারনে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে হলেও, কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে নানা অব্যবস্থপনার কারনে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিতে যেয়ে বিভিন্ন সংগঠনের বিড়ম্বনায় পড়তে দেখা গেছে। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা সকাল ৭ টার সময় থাকলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি জেরিন কান্তা অনুষ্ঠান স্থলে আসেন সকাল ৭ টা ১৫ মিনিটে। প্রতিবছর জাতীয় দিবসে পুষ্প মাল্য অর্পনের জন্য বিভিন্ন সংগঠনের নামের তালিকা অনুযায়ী পুষ্প মাল্য অর্পনের জন্য একজন উপস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কিন্তু আজকে সেটাও এখানে করা হয়নি। তাৎক্ষনিক ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লালটুর হস্তক্ষেপে সেটা সমাধান হয়। জাতীয় দিবসের এমন অনুষ্ঠানের বিশৃঙ্খলা দেখে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রধান, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃীবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ উম্মা প্রকাশ করেন। অনেককে পুষ্প মাল্য অর্পণ না করে ফিরে যেতে দেখা গেছে। যেটা জাতীর জন্য অনাকাঙ্খিত। এ সময় স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্প মাল্য অর্পণ করেন কলারোয়া উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, কলারোয়া থানা, কলারোয়া পৌরসভা, কলারোয়া সরকারী কলেজ, উপজেলা আ’লীগ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করেন। পরে সকাল ৯ টার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।