আহসানউল্লাহ,খোরদো (কলারোয়া) প্রতিনিধি :
কলারোয়ার খোরদো বাজারে জমে উঠেছে খেঁজুরের গুড় বা পাটালি
বেচাকেনার হাট। প্রাচীন যুগ থেকে এই বাজরের গুড়ে হাট নামে
পরিচিত। শীত মৌসুম আসলে বাজারে খেজুরে গুড় ও পাটালী
আসা শুরু হয়। দেশ বিদেশ গুড়ে ব্যাপারীরা বাজারে গুড় কেনার জন্য আগাম
ঘরভাড়া নেয়। সেজন্য শীত মৌসুম আসলেই দেখা যায় খেঁজুর
গাছের গাছিদের ব্যস্ততা দৃশ্য। খেঁজুর গাছ কাটা থেকে শুরু
করে রস আহরণ করে সেই রস থেকে গুড় তৈরি করা পর্যন্ত বেশ ব্যস্ত
সময় পার করে থাকে এ জনপদের মানুষেরা। গ্রমাঞ্চলে খেঁজুর
গাছিরা নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে বাড়তি উপার্জনের জন্য
তারা রস আগুনে জ্বালিয়ে তৈরি করে গুড় ও গুড় থেকে তৈরিকৃত
পাটালি। গুড় ও পাটালী স্থানীয় বাজারে চাহিদা মিটিয়ে গুড় বা
পাটালি চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরেও। খোরদো বাজারের
খোরদো-চাকলা ব্রিজ সংলগ্ন গুড়ের হাট সপ্তাহে দু’দিন
বৃহস্পতিবার ও রবিবার বসে। কপোতাক্ষ তীর ঘেষা খোরদো বাজারস্থ
ব্রীজের মুখ সংলগ্ন রাস্তার ধারে এ হাট সত্যি চোখে পড়ার মতো।
শীতের মৌসুমে কলারোয়া উপজেলার অন্যতম প্রধান এ খেঁজুর গুড়ের
হাট বেশ জমজমাট হয়ে থাকে বলে অনেকে জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন- কলারোয়ার খেঁজুরের রসের রয়েছে আলাদা
খ্যাতি বা জস। সেই খেঁজুরের রস জ্বালিয়ে তৈরি করা হয় গুড় ও
পাটালি। উপজেলার খোরদো বাজারে খেঁজুর গুড় ও পাটালির হাটে গুড়
ও পাটালি বিক্রি করতে আসেন পার্শ্ববর্তী যশোর জেলার
মনিরামপুর ও কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ৩০/৩৫ টি
গ্রামের খেঁজুর গাছের গাছিরা। গুড় বিক্রি করতে আসা দেয়াড়া
গ্রামের নাজিম উদ্দিন দফাদার ও জব্বার দফাদার নামের খেঁজুর
গাছি জানান-এখনতো আগের মতো গাছ নেই। বিলুপ্তির পথে
খেঁজুর গাছ। তাই রস এখন কম সংগ্রহ করা হয়, যা সংগ্রহ করতে
পারি তাতে খরচটা কোন রকম বেঁচে থাকে। তারপর বর্তমান
বাজারে এক ভাড় গুড়ের দামও কম পাওয়া যায়। যেটা কষ্ট এবং জ্বালানি
খরচ হিসেবে তুলনামূলকভাবে কম।